চলতি মাসের শেষ দিকেই শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের নারী ফুটবল লিগের নতুন মৌসুম। আগামী ২৯ ডিসেম্বর মাঠে গড়াবে এবারের লিগ, যা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। লিগ শুরুর আগে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে খেলোয়াড় দলবদল কার্যক্রম।

আজ বুধবার বাফুফে ভবনে অংশগ্রহণকারী ১১টি ক্লাবের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান নারী ফুটবল উইংয়ের চেয়ারম্যান ও বাফুফে সদস্য মাহফুজ আক্তার কিরণ। তিনি জানান, “সময় স্বল্পতা থাকলেও প্রতিটি ম্যাচের পর দুই দিনের বিরতি রেখে সূচি প্রণয়ন করা হয়েছে, যাতে খেলোয়াড়দের প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিশ্চিত করা যায়।”

এবারের লিগে বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধনের সুযোগ থাকছে। প্রতিটি ক্লাব সর্বোচ্চ চারজন বিদেশি খেলোয়াড় নিবন্ধন করতে পারবে, তবে একসঙ্গে মাঠে নামানো যাবে তিনজনকে। পাশাপাশি বয়সভিত্তিক খেলোয়াড় উন্নয়নের লক্ষ্যে নতুন নিয়ম যুক্ত করেছে বাফুফে। প্রতিটি দলে চারজন অনূর্ধ্ব-১৭ এবং চারজন অনূর্ধ্ব-২০ খেলোয়াড় রাখা বাধ্যতামূলক। ম্যাচের শুরুর একাদশেও অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-২০ থেকে দুজন করে খেলোয়াড় খেলাতে হবে। পরিবর্তনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে।

খেলোয়াড় পুল গঠনের গুঞ্জন নাকচ করে কিরণ বলেন, এবার কোনো পুল ব্যবস্থা থাকছে না। সব খেলোয়াড় ফ্রি থাকবে এবং নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী যে কোনো ক্লাবে খেলতে পারবে। একইভাবে ক্লাবগুলোও ইচ্ছামতো খেলোয়াড় দলে ভেড়াতে পারবে।

দল নিবন্ধনের ক্ষেত্রেও সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি ক্লাব ন্যূনতম ২৩ জন এবং সর্বোচ্চ ৩৫ জন খেলোয়াড় নিবন্ধন করতে পারবে। লিগের সব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে কমলাপুর স্টেডিয়ামে।

স্পন্সরশিপ প্রসঙ্গে কিরণ জানান, “ওয়ালটনের সঙ্গে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার একটি চুক্তি হয়েছে। তবে এই অর্থ লিগ আয়োজনের জন্য যথেষ্ট নয়। ক্লাবগুলোর জন্য অংশগ্রহণ ফি দেওয়ার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এ নিয়ে বাফুফে সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”

সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে লিগ শেষ করার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় দলের কয়েকজন খেলোয়াড় অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে যাবে। বছরে একবার হওয়া লিগ থেকে খেলোয়াড়দের আয়ের সুযোগ নিশ্চিত করতেই জানুয়ারির মধ্যেই লিগ শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

লিগ চলাকালীন খেলোয়াড়দের ফিটনেস ও স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে বলেও জানান কিরণ। জাতীয় দলের কোচ পিটার বাটলার ও ফিটনেস ট্রেনার ক্যামেরনের তত্ত্বাবধানে জিপিএস ডাটা ব্যবহার করা হবে, পাশাপাশি বাফুফের ফিজিওথেরাপিস্টরাও সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবেন।

সব মিলিয়ে সময়ের সীমাবদ্ধতার মধ্যেও নারী ফুটবলের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং বয়সভিত্তিক উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েই নতুন মৌসুমের নারী ফুটবল লিগ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাফুফে।

Previous articleদিয়াবাতের জোড়ায় উড়ল আবাহনী, ৫–০ গোলে বিধ্বস্ত ফকিরেরপুল

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here