এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে তিনটি ম্যাচ খেলেছে। প্রতিটি ম্যাচ ছিল ভরা গ্যালারি আর স্পন্সরের উপস্থিতিতে সরব। ফুটবল মহলে প্রশ্ন ছিল এই আয়োজন থেকে ফেডারেশনের আসলে কত আয় হয়েছে। আজ নির্বাহী কমিটির সভা শেষে বাফুফে আয় প্রকাশ করলেও ব্যয়ের হিসাব দিতে পারেনি।

সভা শেষে বাফুফের মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু জানান, সিঙ্গাপুর ম্যাচে আয় হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা। হংকং ম্যাচে ১ কোটি ২ লাখ ৭ হাজার ৮৭৪ টাকা। ভারত ম্যাচে আয় ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। তিনি বলেন, এখনও কিছু খরচ বাকি থাকতে পারে, সেগুলো পরে জানানো হবে। কত ব্যয় হয়েছে, সেটি জানাতে না পারার কারণ জানতে চাইলে বলেন যে কাজ চলছে এবং হিসাব তৈরি হলেই জানানো হবে।

ব্যয় নয়, আয় নিয়েও শুরুতে কিছু অসঙ্গতি তৈরি হয়। প্রথমে শুধু টিকিট বিক্রি থেকে পাওয়া অর্থকে আয় হিসেবে উল্লেখ করলেও প্রশ্নের মুখে পরে জানান, সব খাত মিলিয়েই এই হিসাব। নতুন অর্থ কর্মকর্তা দায়িত্ব নেওয়ায় হিসাবপদ্ধতি সহজ করার পরামর্শও সভায় এসেছে বলে জানা গেছে। সূত্র বলছে, ভারত ম্যাচের ব্যয়ের কাগজপত্র অর্থ কর্মকর্তা হাতে পেয়েছেন মাত্র কয়েক দিন আগে, তাই সভায় উপস্থাপন সম্ভব হয়নি।

সভার আলোচনায় আরও আসে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে বরাদ্দ পাওয়া আট স্টেডিয়ামের বিষয়। বাফুফে সিলেট স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের জন্য অগ্রাধিকার দিতে চায়। এরপর রয়েছে গাজীপুর সদর স্টেডিয়াম। বরাদ্দ পাওয়া সব স্টেডিয়ামই ব্যবহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ফিফার অর্থায়নে কক্সবাজারে টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের বিষয়টিও জরুরি। ডিসেম্বরের মধ্যে জমি বুঝে না পেলে অর্থ হাতছাড়া হওয়ার ঝুঁকি আছে। বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হলেও সময়ের অভাবে সভায় খুব বেশি আলোচনা হয়নি। বাইশটি আলোচ্যসূচি থাকলেও অনেকগুলো স্থগিত রাখা হয় বা সভাপতিকে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়।

Previous articleআজারবাইজান ম্যাচের পর ভিন্ন বাটলার, প্রচেষ্টায় মেয়েদের দিলেন দশে দশ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here