অবশেষে মালদ্বীপের বিপক্ষে স্বস্তির জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে পরাজয়ের পর এই ম্যাচে একমাত্র লক্ষ্য ছিলো জয়। ম্যাচের প্রথমদিকে গোল হজম করলে শেষ পর্যন্ত নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছে শেখ মোরসালিন-শাহরিয়ার ইমনরা। ম্যাচে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে পরাজিত করে তারা। জয় পাওয়ার দিনে প্রেস কনফারেন্সে নিজের দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে ইতিবাচক কথা বলেছেন কোচ হ্যাভিয়ার ক্যাবররা। তবে প্রেস কনফারেন্সে উত্তেজিত হয়ে তাকে মেজাজ হারাতেও দেখা গিয়েছে।
প্রথম ম্যাচে পরাজিত বাংলাদেশ, দ্বিতীয় ম্যাচে ঠিকই তুলে নিয়েছে। তবে এই দুই ম্যাচে নিজেদের মনোভাবের কোনো পরিবর্তন ছিলো না বলে জানান বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হ্যাভিয়ার ক্যাবররা। তার মতে দুই ম্যাচে একই পরিকল্পনা নিয়ে দল মাঠে নেমেছিলো,
“প্রথম ম্যাচে আমরা যে মনোভাব নিয়ে খেলতে নেমেছিলাম, আমি মনে করি দ্বিতীয় ম্যাচেও আমাদের মনোভাবে খুব বেশি পার্থক্য ছিল না। একই পরিকল্পনা, আক্রমণে যাওয়ার উপায় একই ছিল।”
নিজেদের মেলে ধরেও ঠিকভাবে মেলে ধরতে পারে নি বাংলাদেশ। ফলাফল ম্যাচের প্রথম দিকেই গোল হজম করে তারা। তবে আস্তে আস্তে নিজেদের গুছিয়ে নিয়েছে বাংলাদেশ। এতে করে গোলের দেখাও পায় তারা। এই প্রসঙ্গে ক্যাবররা জানান,
“শুরুতে আমরা একটু ভুগেছি, চাপের মুখে প্রাণশক্তির একটু কমতি ছিল। যেটা প্রথম ম্যাচেও ঘটেছিল। কিন্তু তারপরও আমরা একইভাবে আক্রমণ করেছি, দ্বিতীয়ার্ধে ছেলেরা তাদের জাত চিনিয়েছে। প্রথম ম্যাচের পর তারা সমালোচনা করেছিল, কিন্তু আমরা সবাই বিশ্বাস করেছিলাম, আমরা জিতবো।”
তবে প্রেস কনফারেন্সে কোচ হ্যাভিয়ার ক্যাবররাকে মেজাজ হারাতে দেখা গিয়েছে। ক্যামেরার সামনে নিয়ে সমালোচকদের নিয়ে ক্ষোভ জেড়েছেন। যা ছিলো একপ্রকার অপেশাদারিত্বের পরিচয়। তিনি অভিব্যক্তি তুলে ধরে বলেন,
“আপনারা প্রথম ম্যাচে আমাদের চমৎকার ফুটবল দেখেননি? আমার মনে হয়, এই ম্যাচের চেয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা আরও বেশি ভালো খেলেছিলাম। আজকের চেয়ে সেদিন বেশি সুযোগ তৈরি করেছিলাম। সেই একই মনোভাব, প্রাণশক্তি, মানসিকতা নিয়েই আমরা নেমেছিলাম। আপনারা শুধু এই দলের সমালোচনা করতে চান, যেটা পুরোপুরি অন্যায়।”
তিনি আরো বলেন,
“অবশ্যই এটা স্বস্তির। প্রথম ম্যাচও আমরা জিততে পারতাম। অবশ্যই এটা স্বস্তির। দলের সবাই জিততে চেয়েছিল। জয়ের প্রয়োজন ছিল আমাদের। আমরা জানতাম, এই ছেলেদের নিয়ে আমরা জিততে পারবো।”