ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেই নিজের দক্ষতার ছাপ রেখেছেন হামজা চৌধুরী। শেফিল্ড ইউনাইটেডের এই মিডফিল্ডারের অভিষেক ম্যাচেই বাংলাদেশ যেন পেল এক নতুন উদ্যম। শিলংয়ের জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে ২০২৭ এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করলেও, খেলার ধরণে বাংলাদেশ ছিল আত্মবিশ্বাসী ও গোছানো।
প্রথমার্ধে বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণ তৈরিতে ভারতকে টেক্কা দেয় বাংলাদেশ। তবে অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু বর্মনের চোট দলের রক্ষণভাগে সামান্য অনিশ্চয়তা তৈরি করলেও, মাঝমাঠে ছিলেন নির্ভরযোগ্য হামজা। তাঁর বল কাটা, নিখুঁত পাসিং ও খেলার বুদ্ধিদীপ্ত বিশ্লেষণ পুরো দলের পারফরম্যান্সে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা।
ম্যাচ শেষে কাবরেরা বলেন, “হামজা শুধু একজন দক্ষ ফুটবলারই নয়, বরং পুরো দলের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেওয়া এক অনুপ্রেরণা। বল ধরে রাখা, নিখুঁত পাস দেওয়া ও খেলার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার মতো গুণ তার মধ্যে রয়েছে। মাঠের ভেতরে ও বাইরে সে দলকে উজ্জীবিত করেছে।”
আগামী ১৮ নভেম্বর ঢাকায় ফিরতি লেগে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। তবে এর আগে ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে মাঠে নামবে দল। কাবরেরা মনে করেন, এই ম্যাচে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই এগোনো উচিত, কারণ হামজার উপস্থিতি দলকে আরও শক্তিশালী করেছে। “হামজার মতো একজন খেলোয়াড় পাশে থাকলে বাকিরাও আত্মবিশ্বাসী ও নিরাপদ অনুভব করে। সে শুধু মিডফিল্ডে নয়, প্রয়োজন অনুযায়ী সেন্টার ব্যাকেও খেলেছে—যা প্রমাণ করে, তার খেলার বুদ্ধি কতটা উন্নত।”
হামজার পারফরম্যান্সে আশার আলো দেখছে বাংলাদেশ দল। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয় নিয়ে এগিয়ে যেতে চায় কাবরেরার শিষ্যরা, আর এই স্বপ্নের বড় অংশজুড়েই রয়েছেন হামজা চৌধুরী।