বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে শিরোপা জিতে নিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। খানিক সম্ভাবনা থাকলেও শিরোপা দৌড় অনেক আগেই ছিটকে গেছে আবাহনী লিমিটেড ও বসুন্ধরা কিংস। তবে লিগ শেষ হওয়ার আগে দুই জায়ান্টের সামনে তৈরি হয়েছে আরেকটি বড় সুযোগ — এশিয়ার মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা।
নিয়ম অনুযায়ী, লিগ চ্যাম্পিয়ন দলই অংশ নেয় এএফসির টুর্নামেন্টে। কিন্তু এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব এখনো এএফসির ক্লাব লাইসেন্স পায়নি। এর আগেও এএফসির সকল কন্ডিশন পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় ক্লাব লাইসেন্স করতে পারেনি তারা। এবার আবেদন করলেও লাইসেন্স না পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তাই সেক্ষেত্রে লিগে দ্বিতীয় স্থানে থাকা দলটি এএফসির টিকিট পাবে। এবার বাংলাদেশ থেকে একটি ক্লাব এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের বাছাইপর্বে অংশ নেবে।
এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় স্থান এখন সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত পজিশনে পরিণত হয়েছে। কারণ বর্তমানে এই অবস্থানের জন্য লড়াই করছে ঢাকা আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংস এবং দুই দলেরই রয়েছে এএফসির ক্লাব লাইসেন্স। তাই লিগে রানার্স আপ হলেই মিলে যেতে পারে এএফসির মঞ্চে অংশ নেওয়ার সুযোগ।
শেষ রাউন্ডের আগের ম্যাচে দু’দলই পয়েন্ট ভাগাভাগি করেছে। কুমিল্লায় রহমতগঞ্জের বিপক্ষে আবাহনী ১-১ গোলে ড্র করে। এমেকা ওহবাহ গোল করে দলকে এগিয়ে দিলেও রহমতগঞ্জের স্যামুয়েল বোয়াটেং ম্যাচে সমতা ফেরান।
অন্যদিকে, বসুন্ধরা কিংসও নিজেদের মাঠে ফর্টিস এফসির সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে। ফর্টিসের হয়ে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ গোল করলেও শেখ মোরসালিন দুর্দান্ত একক প্রচেষ্টায় সমতা ফেরান কিংসকে।
১৭ ম্যাচ শেষে আবাহনী ৩২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আর বসুন্ধরা কিংস ২৯ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। দুই দলেরই বাকি মাত্র একটি করে ম্যাচ।
শেষ রাউন্ডে আবাহনী যদি ড্র করে, তাহলেই তারা দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করবে এবং চ্যালেঞ্জ লিগে খেলার সম্ভাবনা ধরে রাখবে। তবে কিংসের জন্য সমীকরণ কঠিন—তাদের শুধু জিতলেই হবে না, তাকিয়ে থাকতে হবে আবাহনীর হারের দিকেও।
শেষ রাউন্ড তাই একপ্রকার ‘বাঁচা-মরার লড়াই’ দুই দলের জন্য। যদিও শিরোপার সম্ভাবনা নেই, তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খেলার সুযোগ প্রাপ্তি এখন দুই দলের কাছেই বড় চ্যালেঞ্জ।