এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে আগামী মঙ্গলবার মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচকে সামনে রেখে আলোচনায় উঠে এসেছেন সিঙ্গাপুরের প্রাণভোমরা ফরোয়ার্ড ইখসান ফান্ডি। তাকে ঠেকাতে বিশেষ প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ দল, এমনটাই জানিয়েছেন কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি ফুটবলার শমিত সোম।
কানাডা থেকে সদ্যই বাংলাদেশে এসেছেন শমিত। ভুটানের বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতা প্রীতি ম্যাচে যদিও তার মাঠে নামা হয়নি, তবে সাইডলাইনে বসে দলকে সমর্থন দিয়েছেন এই মিডফিল্ডার, যিনি আগে কানাডার হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন। এবার সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামার অপেক্ষায় আছেন তিনি।
জাতীয় দলের অনুশীলনের আগে শুক্রবার জাতীয় স্টেডিয়ামে শমিত বলেছেন, ‘ফান্ডিকে নিয়ে একটু প্রস্তুতি হচ্ছে, ও যেহেতু সিঙ্গাপুরের মূল খেলোয়াড় এবং আমাদের মূল হুমকি, সেজন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। সে আমাদের বিপক্ষে কী করতে পারে বিষয়টা ভাবনায় আছে। রক্ষণ নিয়ে আমরা কীভাবে ওদেরকে আঘাত করতে পারি, ট্যাকটিক্যাল দিকগুলো দেখছি, ভিডিও দেখছি।’
বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক নিয়ে শমিত বলেন, ‘আমি স্রেফ রোমাঞ্চ নিয়ে খেলার জন্য অপেক্ষা করছি। (ভুটানের বিপক্ষে) খেলা দেখেছি, কত সমর্থক মাঠে এসেছিল, দল ভালো করেছে। আশা করি, আমরা একই জিনিস করতে পারবো সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে।’
দলের বর্তমান অবস্থা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে শমিত বলেন, ‘দল সব দিক থেকেই শক্তিশালী। ভারসাম্য আছে। আমার খুব ভালো লেগেছে মিডফিল্ড। সবশেষ ম্যাচে হামজা, সোহেল রানা ভাই, জামাল সবাই খুব ভালো খেলেছে। রক্ষণ খুব ভালো করেছে, ভুটানকে কোনও সুযোগ দেয়নি। মোটামুটি সবাই খুব ভালো অবস্থায় আছে। আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে কারণ, সিঙ্গাপুর একটু কঠিন প্রতিপক্ষ।’
সিঙ্গাপুরের ২৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড ইখসান ফান্ডিকে ইতোমধ্যে তাদের ফুটবলে ‘উদীয়মান কিংবদন্তি’ হিসেবে দেখা হচ্ছে। চোট কাটিয়ে ফেরার পর মালদ্বীপের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে দুটি সেট পিস থেকে হেডে জোড়া গোল করে নিজের ফর্মের জানান দিয়েছেন তিনি। ওই ম্যাচে ৩-০ গোলে জেতে সিঙ্গাপুর—যেটা ছিল সাত ম্যাচ পর তাদের প্রথম জয়।
বর্তমানে ফিফা র্যাংকিংয়ে সিঙ্গাপুর আছে ১৬১তম স্থানে, মালদ্বীপ ১৬৪ নম্বরে এবং বাংলাদেশ রয়েছে ১৮৩তম স্থানে। বাংলাদেশের শেষ ম্যাচে ভুটান (১৮১তম)-কে হারানো আত্মবিশ্বাসের বড় জোগান দিয়েছে জামাল ভূঁইয়াদের।
জাপানি কোচ সুতোমু ওগুরার ৪-৫-১ ছকে সিঙ্গাপুরের আক্রমণের মূল দায়িত্বই থাকে ফান্ডির কাঁধে। জাতীয় দলের হয়ে এখন পর্যন্ত ৩৯ ম্যাচে ২০ গোল করা এই ফরোয়ার্ডকে ঠেকানোই হবে বাংলাদেশের সেন্টারব্যাক তপু বর্মন ও তারিক রায়হান কাজীর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।