বাংলাদেশের ফুটবল এক নতুন দিগন্তের পথে। সেই যাত্রা ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। হামজা চৌধুরী-ফাহমিদুল ইসলাম-শমিত শোমদের আগমন স্বপ্ন দেখাচ্ছে দেশের কোটি ফুটবল প্রেমিকে। ৯০ মিনিটের একটি ম্যাচ, সেটা ঘিরে কতই না উন্মাদনা। দেশের ফুটবলও দানা বাঁধতে শুরু করেছে নতুন করে। ১০ জুন সিঙ্গাপুরকে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হারালে স্বপ্নের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাবেন হামজা চৌধুরী-শমিত শোমরা।

এনিয়ে পঞ্চমবার সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। প্রথম দেখা হয়েছিল ২ আগস্ট ১৯৭৩ সালে মারদেকা কাপে। মালয়েশিয়ার অনুষ্ঠিত সেই টুর্নামেন্টে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের। গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের কোনোটিতেই না জিতলেও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ড্র করেছিল ১-১ ব্যবধানে। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটে বাংলাদেশকে এগিয়ে দেন কাজী সালাউদ্দিন। তবে ২০ মিনিটে সমতা ফেরান সিঙ্গাপুরের শামসুদ্দিন রহমত।

তবে এর পরবর্তী ম্যাচেই, ১৩ আগস্ট ১৯৭৩ সালে সিঙ্গাপুরের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ এবং নওশেরুজ্জামান-এর একমাত্র গোলে জয় লাভ করে। এই জয়টি বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের বড় অংশ, কেননা এটাই ছিল বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ফুটবলে প্রথম জয়।

এরপর দীর্ঘ বিরতি। ১৩ বছর পর, ১৯৮৬ সালের ৭ ডিসেম্বর কাঠমান্ডু কাপে ফের দেখা হয় দুই দলের। সেই ম্যাচও ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল। এছাড়া দুই দলের সবশেষ দেখা হয়েছিল ৩০ মে ২০১৫ সালে ঢাকার বর্তমান জাতীয় স্টেডিয়ামে। সেই ম্যাচে প্রথমবারের মতো সিংগাপুরের কাছে ২-১ গোলে হারে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ডিফেন্ডার নাসির উদ্দিন চৌধুরী।

১০ বছর পর একই ভেন্যুতে আবারও দেখা হচ্ছে দুই দলের। যেখানে বাংলাদেশ আগের যেকোন সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। হামজা,ফাহমিদুল,শমিতদের সাথে রাকিব-মোরসালিন-কাজেমরা বড় পরীক্ষা নিবে সিঙ্গাপুরের। তবে এবার মঞ্চটা ভিন্ন। লক্ষ্য থাকবে তিন পয়েন্ট অর্জন করার।

Previous articleবিশাল বহর নিয়ে ঢাকায় সিঙ্গাপুর দল
Next articleসিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জয় পেতে আত্মবিশ্বাসী ক্যাবরেরা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here