সময়ের অন্যতম সেরা লড়াইয়ের অপেক্ষায় বাংলাদেশের ফুটবল প্রেমীরা। আগামীকাল (১০ জুন) এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুর। এই ম্যাচ দিয়েই চলতি বাছাইপর্বে ঘরের মাঠে প্রথমবার খেলতে নামছে বাংলাদেশ। গেল কয়েক মাস ধরেই এই ম্যাচ নিয়ে আলোচনা চলমান। প্রতিপক্ষ সিঙ্গাপুরের কোচও সেটা অনুভব করছেন।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে সিঙ্গাপুরের চেয়ে ২২ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশ। অবশ্য এই গ্রুপে প্রথম ম্যাচ শেষে ৪ দলেরই সমান ১ পয়েন্ট। তাই এখানে সবাই সমশক্তির বলেই মনে করছেন সিঙ্গাপুরের জাপানিজ কোচ সুতোম ওগুরা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “এশিয়া থেকে উজবেকিস্তান,জর্ডান প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলছে। এশিয়ার দলগুলোর মধ্যে আগের মতো অনেক বিস্তর ব্যবধান নেই। আমাদের গ্রুপের (এশিয়ান কাপ বাছাই ) প্রায় সব দলই সমশক্তির। র্যাঙ্কিং আমার কাছে বিবেচ্য নয়।”
মুখোমুখি দেখায় সমানে সমান বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর। তবে শেষ দেখায় ২০১৫ সালে ঢাকায় এই মাঠেই বাংলাদেশকে হারিয়েছিল সিঙ্গাপুর। তবে এত কিছু মাথায় না রেখে এই ম্যাচ নিয়ে ভাবছেন সিঙ্গাপুর কোচ, “আমি জানি না বাংলাদেশের সঙ্গে ১০ বছর আগে কী ফল ছিল। প্রায় দেড় বছর হলো আমি সিঙ্গাপুরের দায়িত্ব নিয়েছি। এই দলের হারুন ১০ বছর আগে খেলেছে। ওর মনে হয় বাংলাদেশের কথা মনে আছে। আমি অবশ্য বাংলাদেশকে সমীহ করছি। এই দেশের মানুষের ফুটবলের প্রতি আবেগ অনেক। আমরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না। আশা করি, হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে।”
বাংলাদেশ দলে হামজা চৌধুরী যোগ দেওয়ার পর বদলে গেছে দৃশ্যপট। এরপর এবার এসেছেন শমিত সোম। তাদের মত তারকাদের আগমন বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক উল্লেখ করে সিঙ্গাপুর কোচ আরো বলেন, “হামজার পাশাপাশি আরো কয়েকজন রয়েছে যারা কানাডা ও অন্য দেশ থেকে এসেছে। তাদের সবার সম্পর্কে ডিটেইলস আমার জানা নেই। এটা বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক। এটা অবশ্যই বাংলাদেশের ফুটবলকে সাহায্য করবে। কিন্তু ওরা যেহেতু ভিন্ন সংস্কৃতি ও পরিবেশ থেকে এসে এখানে মানিয়ে নিয়েছে। ওরা আসায় স্থানীয় ফুটবলাররাও এতে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবে।”
ইতিমধ্যেই বিক্রি হয়ে গেছে বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচের সব টিকেট। তাই স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকদের সামনে খেলতে হবে সফরকারীদের। তাই বাংলাদেশকে সমীহ করলেও সিঙ্গাপুর কোচ নিজেদের উপর আস্থা রাখছেন, “বাংলাদেশ কীভাবে খেলবে সেটাও জানি না। যদিও এখানে সমর্থকের চাপ থাকবে। কিন্তু আমাদের দর্শকের সামনে খেলার এমন অনেক অভিজ্ঞতা আছে। মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দলের বিপক্ষে দেশের বাইরে খেলেছি। সেখানে যেমন খেলেছি ঢাকাতেও তেমনি ছেলেরা স্বাভাবিক খেলাটাই খেলবে।”