টানা চার ম্যাচ জিতে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা বাংলাদেশের মেয়েরা একদিন বিরতি নিয়ে পুরোটা কাটাল রিকভারি সেশনে—জিম, সুইমিং আর মানসিক সতেজতায় ভরপুর প্রস্তুতি এখন শনিবারের শ্রীলঙ্কা ম্যাচ ঘিরে। প্রথমবার অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড পরে ভুটান ম্যাচে দলকে এগিয়ে নেওয়া নবিরন খাতুনের কাছে এই সাফল্য আজীবনের স্মৃতি; দলীয় ম্যানেজার জানালেন, ছোটখাটো চোটও কেটে গেছে, স্কোয়াড প্রস্তুত।

সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে টানা চার ম্যাচ জয়ের পর ক্লান্ত শরীর আর মাথা ঝরাতে শুক্রবার কোনো মাঠের অনুশীলন রাখেনি বাংলাদেশ দলের ম্যানেজমেন্ট। ঘন ঘন (একদিন পর পর) ম্যাচের সূচি মাথায় রেখে এদিন প্রাধান্য ছিল রিকভারি সেশনে। খেলোয়াড়রা জিমে কাজ করেছেন, এরপর সুইমিং পুলে সময় কাটিয়ে নিজেদের সতেজ করেছেন। শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরের ম্যাচ।

ভুটানের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচে প্রথমবারের মতো অধিনায়কের আর্মব্যান্ড পরে দলকে নেতৃত্ব দেন নবিরন খাতুন। নিজের সেই আবেগঘন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে তিনি বললেন, “জীবনে প্রথমবার অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড নিয়ে মাঠে নেমেছি। প্রথম ম্যাচেই জয়—আমার কাছে এটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

নবিরনের গ্রামের বাড়িতে ম্যাচটি নিয়ে ছিল উৎসবের আমেজ। “আমার পরিবার খেলা দেখে ফোন দিয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে আমাকে মাঠে দেখে সবাই খুব খুশি। গ্রামের আশপাশের লোকজন নাকি দোকানে বসে একসঙ্গে ম্যাচ দেখেছে—এটা আমার কাছে অনেক বড় পাওয়া,” বলেন তিনি।

দলীয় লক্ষ্য পরিষ্কার—বাকি দু’টি ম্যাচও জিতে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চায় বাংলাদেশ। নবিরন জানান, শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে কোচিং স্টাফ ভিডিও অ্যানালাইসিসে পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। “কে কীভাবে খেলবে—সব দেখাবে। আমরা সেটা নিয়েই ফোকাস করছি। ইনশাআল্লাহ ভালো জয় নিয়ে ফিরবো,” তাঁর দৃঢ় উচ্চারণ।

দলের ম্যানেজার মাহমুদা আক্তার আশাবাদী কণ্ঠে জানালেন, দলে আগে থাকা ছোটখাটো চোটগুলো এখন ঠিক আছে। “আগের মতোই আমরা চেষ্টা করছি সবাইকে সুযোগ দিতে—বিশেষ করে যারা নতুন। তারা তাদের সেরাটা দিচ্ছে,আলহামদুলিল্লাহ ভালো করছে,” বললেন তিনি। “এভাবেই পুরো টুর্নামেন্টটা শেষ করতে চাই। সামনে আরও দু’টি ম্যাচ—ভালো পারফরম্যান্স দিয়ে মাঠ ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।”

বাংলাদেশের ধারাবাহিক জয়ে চোখ এখন শ্রীলঙ্কা ম্যাচে। জয়ের এই ছন্দ ধরে রাখতে পারে কি না—তার উত্তর মিলবে শনিবার।

Previous articleসাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে ভুটানকে উড়িয়ে টানা চতুর্থ জয় বাংলাদেশের

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here