শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হার সত্ত্বেও এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ উইমেন’স এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। লাওস থেকে দেশে ফিরে এই অর্জনে সন্তুষ্টি জানালেন নারী ফুটবল দলের ইংলিশ কোচ পিটার জেমস বাটলার। তবে তৃপ্তির মাঝেই তার নজর এখন সিনিয়র দলের সাফল্য আর ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ ১০০-এ জায়গা পাওয়ার লক্ষ্যে।

শঙ্কার মেঘ সরিয়ে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ উইমেন’স এশিয়ান কাপের বাছাই পেরুনোর তৃপ্তি নিয়েই আরও এগিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের কোচ। শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হারলেও শেষ পর্যন্ত মূল পর্বের টিকেট পাওয়ায় খুশি তিনি।

বয়সভিত্তিক পর্যায়ের সাফল্য প্রশংসার হলেও বাটলারের মূল মনোযোগ সিনিয়র দলের দিকে। এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ভালো পারফরম্যান্সের সুবাদে এক লাফে ২৪ ধাপ এগিয়ে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ এখন ১০৪তম স্থানে। তার লক্ষ্য—র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ ১০০-এ প্রবেশ।

এক ভিডিও বার্তায় বাটলার বলেন,“আমি মনে করি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমরা যা অর্জন করেছি। এটি শুরু হয়েছিল গত বছর চাইনিজ তাইপের ম্যাচ থেকে, এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে এর প্রমাণ মিলেছে। আমি বিশ্বাস করি, প্রতিযোগিতামূলক এবং স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ তৈরি করার ক্ষমতা আমাদের আছে, আর মেয়েরা দারুণ করেছে।”

তবে র‌্যাঙ্কিং ধরে রাখা কঠিন বলে মনে করেন তিনি। “এটি খুব দ্রুত নিচেও নেমে যেতে পারে, আবার দ্রুত উপরে উঠতেও পারে। তাই বাস্তববাদী থেকে আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।”

দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ৬-১ গোলের হারের পরও আক্রমণাত্মক কৌশল থেকে সরে আসবেন না বাটলার।“আমাদের কিছু খেলোয়াড় অসুস্থ ছিল, চোট ছিল। তবুও আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছি। বিশ্বের সেরা অনূর্ধ্ব-২০ দলগুলোর একটি ছিল প্রতিপক্ষ। আমরা রক্ষণাত্মক হয়ে শুধু গোল রক্ষা করতে চাইনি। এভাবে আমি কাজ করি না।”

বাটলার শেষ করেন মেয়েদের প্রশংসা করে—
“সামগ্রিকভাবে আমি আনন্দিত এবং সত্যিই গর্বিত।”

Previous articleলাওস থেকে দেশে নয়, ইংল্যান্ডে ছুটিতে বাটলার; নারী ফুটবলে পুষ্টি বিতর্কে বাফুফের জবাব
Next articleদিয়াবাতেকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী আবাহনী, কিরগিজ চ্যালেঞ্জে জয়ের লক্ষ্য

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here