বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের স্প্যানিশ হেড কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবেররা চারদিকের সমালোচনার মাঝেই সেপ্টেম্বর উইন্ডোর প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। ১০ জুন ঢাকায় সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে হারের পর থেকেই সাবেক ফুটবলার থেকে শুরু করে বাফুফের নির্বাহী সদস্যরাও ক্যাবেররাকে দায়ী করেছেন। কেউ কেউ সরাসরি তার পদত্যাগ দাবি করেছেন। এতকিছুর পরও ক্যাবেররা জানালেন, তিনি সব মতামতকে সম্মান করেন এবং সামনে নেপালের প্রীতি ম্যাচ দিয়েই নতুনভাবে শুরু করতে চান।
সেপ্টেম্বর উইন্ডোর জন্য জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরু হয়েছে ১৩ আগস্ট। এক সপ্তাহ পর আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন হ্যাভিয়ের। সাংবাদিকদের প্রথম প্রশ্নই ছিল সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে। সমর্থক, সাবেক খেলোয়াড়দের পাশাপাশি খোদ বাফুফে কর্মকর্তাদের ক্ষোভ নিয়েই কোচ বললেন, ‘আমি সকল মতামতকে সম্মান করি। আমরা অনেক সভা করেছি বাফুফের ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে। তারা তাদের মতামত দিয়েছেন, আমিও দিয়েছি। কিছু বিষয়ে একমত হয়েছি, কিছুতে হইনি। সব কিছুকেই আমি স্বাগত জানাই।’
সেপ্টেম্বরে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এই ম্যাচ সামনে রেখে প্রায় এক মাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে দল। তবে এত দীর্ঘ ক্যাম্প নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইমরুল হাসানও বলেছেন, ‘সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে কোচ খেলতে চায়নি সেই মোতাবেক ঘরোয়া সূচি চূড়ান্ত করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে ক্যাবেররার জবাব, ‘আমি মৌসুম শুরু হওয়ার আগে পরিকল্পনা করি। এ নিয়ে আগেই আলোচনা হয়েছে। আমি জনাব ইমরুলের সঙ্গে বিতর্কে যেতে চাই না। তাকে আমি যথেষ্ট সম্মান করি। এখন আমাদের সব মনোযোগ নেপাল ম্যাচে।’
সমালোচনার জবাবে কোচের ব্যাখ্যা, ‘১০ জুন সিঙ্গাপুর ম্যাচের পর কোনো আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া খেলা ছিল না। এজন্য আগেভাগে ক্যাম্প ডাকা হয়েছে। যেন খেলোয়াড়রা ফিট থাকতে পারে।’
তবে অনুশীলন শুরুর পর নতুন সমস্যা তৈরি করেছে বসুন্ধরা কিংস। জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ১০ জন ফুটবলারকে ছাড়েনি ক্লাবটি। ফলে পুরো দল নিয়ে কাজ করার সুযোগ পাননি ক্যাবেররা। তবু তিনি আশাবাদী, ‘আমরা এখন পর্যন্ত সন্তুষ্ট ও ইতিবাচক যেভাবে এগোচ্ছি। এটি কার্যকর হবে। শুধু নেপাল নয়, এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের হংকং ও ভারতের ম্যাচের জন্যও প্রস্তুতি হচ্ছে।’
কিংস খেলোয়াড় না ছাড়লেও অন্য ক্লাব থেকে ডাক পাওয়া ১৩ জন নিয়ে চলছে অনুশীলন। অনুশীলনের সুবিধার্থে আরও ২-৩ জন ফুটবলারকে ডাকা হয়েছে। এমনকি ছোটনের সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ ক্যাম্প থেকে চার ফুটবলারকেও টেনে নিয়েছেন ক্যাবেররা।