বাংলাদেশ-নেপাল প্রীতি ম্যাচ ঘিরে দুই দেশের ফুটবলে এখন উত্তেজনা তুঙ্গে। শনিবার বাংলাদেশ সময় বিকেল পৌনে ৬টায় কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে দল দুটি। ম্যাচকে সামনে রেখে দুই দলের কোচ ও অধিনায়কেরা শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে নিজেদের প্রস্তুতি ও প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।
নিয়মিত একাদশে জায়গা না পাওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বলেছেন, নেপাল শক্তিশালী হলেও তাদের লক্ষ্য কেবল জয়। একইসঙ্গে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগে এই ম্যাচ দুটিকে গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তুতি হিসেবেও দেখছেন তিনি। ঘরোয়া লিগের শক্তি ও অবকাঠামোর গুরুত্ব নিয়েও মত দিয়েছেন জামাল।
নেপালকে শক্তিশালী দল হিসেবে স্বীকার করলেও জয় পেতে মরিয়া জামাল বলেন, ‘আমরা এখানে তিন পয়েন্টের জন্য এসেছি। আপনি যেকোনও খেলোয়াড়কে জিজ্ঞেস করতে পারেন, সবাই একই উত্তর দেবে।’
অন্যদিকে স্বাগতিক নেপালের অস্ট্রেলীয় কোচ ম্যাট রস মনে করেন, ‘বাংলাদেশ শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। দলে প্রবাসী তারকা হামজা চৌধুরী না থাকলেও তাদের মান কমেনি। তিনি বলেন, ‘হামজার বিকল্পও উচ্চমানের খেলোয়াড়। তাই বাংলাদেশ সবসময়ই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দল।’
নেপাল অধিনায়ক কিরণ চেমজং অবশ্য স্বীকার করেছেন, হামজাকে মাঠে দেখতে না পারায় তাদের ভক্তরা হতাশ। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, ম্যাচটি হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও উপভোগ্য।
বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা সংবাদ সম্মেলনে জানান, নেপালের বিপক্ষে এই ম্যাচগুলো কেবল প্রীতি নয়, বরং এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি হিসেবেই দেখা হচ্ছে। তার মতে, ‘এটি নিখুঁত প্রস্তুতি। নেপালের মাঠে খেলা কঠিন হলেও আমরা এবার আরও ভালো করবো বলে বিশ্বাস করি।’
হামজা ও শমিতের অনুপস্থিতিতেও কাবরেরা ভরসা রাখছেন বাকিদের ওপর। সাফ থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় এই দলই দারুণ লড়াই করেছে বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সব মিলিয়ে কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে আগামীকাল এক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচই দেখার অপেক্ষায় দুই দেশের সমর্থকেরা।