বাফুফের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির এক বছর পূর্তির দিনে অনুষ্ঠিত হলো পঞ্চম সাধারণ নির্বাহী সভা। উৎসবধর্মী প্রত্যাশা থাকলেও সভার মূল ফোকাস ছিল গঠনতন্ত্র সংশোধন ও গত এক বছরের সাফল্যের ফিরিস্তি — গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক বা প্রতিশ্রুতি-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত খুব কমই আলোচনায় ওঠে।
গত বছর ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত বাফুফে নির্বাচনের মাধ্যমে তাবিথ আউয়ালের নেতৃত্বে গঠিত নতুন কমিটি আজ এক বছর অতিক্রম করল। এ উপলক্ষে বাফুফে ভবনে প্রায় চার ঘণ্টাব্যাপী চলে নির্বাহী সভা। সভা শেষে মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু জানান, গত এক বছরে নারী দলের সাফ জয় থেকে এশিয়া কাপে কোয়ালিফাই, ফুটসালসহ নানামুখী সাফল্য এসেছে বাফুফের। তবে ব্যর্থতা থেকেও যেন ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখার আহ্বান জানান তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে জানা যায়, ছয়টি আলোচ্যসূচি থাকলেও সভার বড় অংশ ব্যয় হয় ফিফা-এএফসি গাইডলাইন অনুযায়ী গঠনতন্ত্র সংশোধন নিয়ে বিস্তর আলোচনায়। বাবুর ভাষায়, “এটি এখনো ৫০-৬০ শতাংশ অগ্রগতি পর্যায়ে, আরও সময় ও সভা লাগবে।”
তবে সিঙ্গাপুর-হংকং ম্যাচের আয়-ব্যয়ের হিসাব বা নারী দলের বকেয়া বোনাস — যেগুলো আগের সভা থেকে আলোচনায় ঝুলে আছে — সেগুলো আজও এজেন্ডা থেকে কার্যত ছিটকে যায়।
নারী ফুটবল লিগে ভোটাধিকার প্রসঙ্গেও দীর্ঘ বিতর্ক হয়। বিদ্যমান গঠনতন্ত্রে শুধুমাত্র শীর্ষ চার দলের ভোটাধিকার থাকলেও প্রস্তাবিত সংস্করণে সকল দলকে ভোটাধিকার দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নেয় নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণসহ আরও কয়েকজন। কিছু নির্বাহী সদস্য এটিকে কাঠামোগত বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা উল্লেখ করে আপত্তি তোলেন।
এসব আলোচনার মাঝেই জাতীয় দলের কোচ ক্যাবরেরা, পাইওনিয়ার ও লিগ কাঠামোর স্থবিরতা, জেলা ফুটবলের দুরবস্থা — এসব সমালোচনামুখী বিষয় আলোচনায় আসেনি বলেই নিশ্চিত করেন বাবু। এমনকি সাবিনা-ঋতুপর্ণাদের দেড় কোটি টাকার বোনাস ইস্যুও আজকের বৈঠকে আলোচিত হয়নি — যা আগের সভাতেও একইভাবে ‘পরবর্তীতে হবে’ আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ ছিল।
স্ট্যান্ডিং কমিটিগুলোর এক বছরের মেয়াদ নবায়ন প্রসঙ্গে তিনি জানান, “সভাপতির এখতিয়ারে চাইলে মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে,” যদিও বর্তমান গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাহী কমিটির অনুমোদন অপরিহার্য।




