এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মূলপর্ব থেকে বাংলাদেশের ক্লাব বসুন্ধরা কিংসের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে এক ম্যাচ আগেই। শুক্রবার রাতে গ্রুপের শেষ ম্যাচটি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। তবে স্বাগতিক কুয়েত এসসির জন্য ছিল কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সুযোগ। সে সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে কুয়েতের ক্লাবটি—বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের ২-০ গোলে হারিয়ে গ্রুপ ‘বি’-এর শীর্ষে থেকে শেষ আটে জায়গা করে নিয়েছে তারা।
তিনবারের এএফসি কাপ চ্যাম্পিয়ন কুয়েত এসসি ম্যাচের প্রথম মিনিটেই গোল করে বসুন্ধরাকে চাপে ফেলে দেয়। সামি আল সানেয়ার ডান দিকের নিখুঁত ক্রসে ইউসুফ আল সুলাইমান হেড করে জালে পাঠান বল। দীর্ঘদিন পর গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকোকে একাদশে ফিরিয়ে এনেছিল বসুন্ধরা কিংস, তবে তার উপস্থিতিতেও গোল ঠেকানো যায়নি।
এরপরও আক্রমণের ধার কমায়নি কুয়েত এসসি। ১৭ মিনিটে ফয়সাল আল হারবির শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। তাহা খেনিসি ও মোহাম্মদ দাহাম সুযোগ তৈরি করেও ফিনিশিংয়ে ব্যর্থ হন। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আসে দলের দ্বিতীয় গোলটি। দাহামের ক্রসে তাহা খেনিসি দারুণ এক ফ্লিক শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে বসুন্ধরা কিংস। ৬৪ মিনিটে রাকিব হোসেনের হেড সামান্য বাইরে দিয়ে যায়। ৮০ মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ডরির ক্রসে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে ইমানুয়েল গোলের সামনে বলের সংস্পর্শে আসতে ব্যর্থ হন। ফলে আর গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশি ক্লাবটি।
তিন ম্যাচে তিন হারে খালি হাতে দেশে ফিরছে বসুন্ধরা কিংস, অন্যদিকে সাত পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপসেরা হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে কুয়েত এসসি।




