২২ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান। জাতীয় স্টেডিয়ামের গর্জনময় রাতে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে শুধু ইতিহাসই লিখল না বাংলাদেশ দল; তরুণ মিডফিল্ডার শমিত শোম সেই ইতিহাসকে আরও বিশেষ বানিয়ে উৎসর্গ করলেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের কিংবদন্তি অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টুর স্মৃতিকে।
গত সপ্তাহের মঙ্গলবার বাংলাদেশে পা রেখেছিলেন শমিত শোম। ঠিক এক সপ্তাহ পর আরেক মঙ্গলবারেই তিনি পেলেন লাল-সবুজ জার্সিতে প্রথম জয়ের স্বাদ। আর সেই জয়ও এসেছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে, টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ১-০ গোলে।
দীর্ঘ ২২ বছর পর ভারতকে পরাজিত করে যে স্মরণীয় রাতে নতুন ইতিহাস রচিত হলো, সেই রাতটি তিনি উৎসর্গ করেছেন প্রয়াত জাকারিয়া পিন্টুকে। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের অধিনায়ক ও বাংলাদেশের কিংবদন্তি ফুটবলার জাকারিয়া পিন্টু গত বছরের ১৮ নভেম্বর মারা যান—তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর দিনেই এ জয় এনে দেন সমিত।

শুধু পিন্টু নন, বাংলাদেশ ফুটবলের জন্য গলা ফাটানো প্রতিটি সমর্থককেও এই জয় উৎসর্গ করেছেন তরুণ এই মিডফিল্ডার। নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক আবেগঘন দীর্ঘ বার্তায় তিনি লিখেছেন—
“ভারতের বিরুদ্ধে ১-০ গোলের জয়, সেটিও আমাদের নিজেদের ঘরের মাঠে।আজকের রাতটা ছিল সত্যিই বিশেষ—এটাই আমাদের খেলার মূল প্রেরণা, আমাদের লড়াইয়ের কারণ। বাংলাদেশকে জেতানো। আমাদের মানুষকে গর্বিত করা।”
২২ ঘণ্টার ভ্রমণ… প্রতিটি মাইল, প্রতিটি ক্লান্তির মুহূর্ত, সব ভুলে যাওয়া যায়, মাঠে পা রেখে যখন আমাদের দর্শকদের গর্জন শোনা যায়। সেই শক্তিই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায়।

আমি এই জয় উৎসর্গ করতে চাই জাকারিয়া পিন্টুকে—স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের কিংবদন্তি অধিনায়ককে, যিনি ঠিক আজকের দিনেই, গত বছর ১৮ নভেম্বর আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। তাঁর সাহস, নেতৃত্ব আর দেশের প্রতি ভালোবাসা—
“এই জার্সি পরা আমাদের প্রত্যেককে অনুপ্রাণিত করে।এই জয় তার জন্য।এই জয় আপনাদের সবার জন্য।”
ভারতের বিপক্ষে কাঁপন ধরা এক রাতে, মাঠে লড়াই করে পাওয়া এই জয় শুধু ম্যাচ জয়ের আনন্দই নয়—বাংলাদেশ ফুটবলের ইতিহাসে নতুন এক আবেগমাখা অধ্যায়ও যোগ করল।




