জাতীয় স্টেডিয়ামে আজ এক অপ্রত্যাশিত দৃশ্য দেখা গেছে। গোলের পর সাধারণত মাঠে আনন্দে ভাসে খেলোয়াড়রা, কিন্তু আজারবাইজানের অধিনায়ক জাফরজাদে ঠিক উল্টোটা করলেন। গোল করার পর তিনি দাঁড়িয়ে কাঁদছিলেন। স্টেডিয়ামে থাকা সবাই তখন ভাবনায় পড়ে যায়, উদযাপনের মুহূর্তে কান্নার কারণ কী।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে দেশের কোচ আজগরভ জানান, দিনটি ছিল অধিনায়কের মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী। দুই বছর আগে মাকে হারানোর কথা উল্লেখ করলেও অধিনায়ক তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চার বছর আগের ঘটনা উল্লেখ করেছেন। ম্যাচের পর তিনি একজন বাংলাদেশি সাংবাদিককে বলেন, আগের দিনই ছিল তার মায়ের মৃত্যুবার্ষিকী। ঠিক কীভাবে মারা গেছেন, তা বলার ইচ্ছা নেই তার।

গোলের পরপরই ডাগ আউট থেকে মায়ের ছবিসহ একটি সাদা টি শার্ট পাঠানো হয় মাঠে। সতীর্থদের সঙ্গে সেই টি শার্ট হাতে নিয়ে ছবি তোলেন তিনি। এরপরই আবেগে ভেঙে পড়েন। কিছু সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকেন। কোচ জানান, “আগের দিনই দলের ভেতরে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। গোল হলে এমন উদযাপন করার পরিকল্পনা ছিল সবারই।”

এশিয়া সফরে এই প্রথম এসেছে আজারবাইজানের নারী দল। দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে তারা। শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে হারানোর পাশাপাশি নিজেও গোল করেছেন অধিনায়ক। সেটি সরাসরি উৎসর্গ না করলেও কোচের চোখে এটা দলের একটি ছোট্ট উপহার।

বাংলাদেশ এখন সামনে তাকিয়ে আছে এশিয়া কাপের দিকে। একই গ্রুপে রয়েছে উত্তর কোরিয়া, চীন ও উজবেকিস্তান। উজবেকিস্তানের বিপক্ষে জিততে পারলে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সুযোগ আছে, আর সেখানেই খুলে যাবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপে যাওয়ার পথ। আজারবাইজানের কোচ বাংলাদেশের খেলা দেখে আশাবাদী, তার ভাষায়, “বাংলাদেশ যদি আজকের মতো খেলতে পারে, উজবেকিস্তানের বিপক্ষে জেতা সম্ভব।”

Previous articleইউরোপীয়ান প্রতিপক্ষের বিপক্ষে লড়ে হেরেছে বাংলাদেশ নারী দল
Next articleআজারবাইজান ম্যাচের পর ভিন্ন বাটলার, প্রচেষ্টায় মেয়েদের দিলেন দশে দশ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here