ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম দিনটা ভালো কাটেনি লাল-সবুজ রাইজিং স্টারদের জন্য। সাও বার্নান্দোর গতিময় ও সংগঠিত ফুটবলের সামনে তারা কোনো জবাবই দিতে পারেনি। চার গোল হজম করে ম্যাচ শেষ করতে হয়েছে বাংলাদেশ দলের তরুণদের।
ঢাকায় এএফ বক্সিং সংগঠনের আয়োজনে লাতিন বাংলা সুপার কাপ নামে আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও বাংলাদেশের দল নিয়ে শুরু হয়েছে ত্রিদেশীয় সিরিজ। সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে শুক্রবার বাংলাদেশের লাল-সবুজ রাইজিং স্টার ০-৪ গোলে হেরেছে ব্রাজিলের সাও বার্নান্দোর কাছে।
ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি দেশের নিচের স্তরের লিগে খেলে। আয়োজকেরা জানিয়েছিলেন, তাদের বয়সভিত্তিক দলের ফুটবলাররাই এই ট্যুরে আসবেন। কিন্তু মাঠের খেলায় দেখা গেল আলাদা চিত্র। ব্রাজিলিয়ানদের বেশির ভাগকেই বয়সে বিশের ওপরে মনে হয়েছে। গতি ও স্কিলে তারা অনেক এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশের তরুণরা গুছিয়ে দাঁড়াতেই পারছিল না। দুই অর্ধে দুটি করে গোল হজম করেছে রাইজিং স্টাররা।
বাংলাদেশ দলের বেশির ভাগ ফুটবলার এসেছে সম্প্রতি চীনে অনুষ্ঠিত এএফসি অ-১৭ বাছাই খেলতে যাওয়া দল থেকে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কয়েকজন প্রবাসী ফুটবলার। জুনের ট্রায়ালে আলোড়ন তোলা বিতশোক চাকমা ও ক্যাসপার হকও এই সিরিজে খেলতে যুক্ত হয়েছেন। বিতশোক আজ শুরু থেকেই খেলেছেন।
বাফুফে দল গঠনে সহায়তা করলেও ম্যাচ আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় খুব একটা ভূমিকা ছিল না। ফলে অনভিজ্ঞ সংগঠনের আয়োজনে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা অব্যবস্থাপনা দেখা গেছে। দর্শকদেরও পড়তে হয়েছে ভোগান্তিতে।
ব্রাজিল থেকে আসা ফুটবলাররা প্রতিটি গোলেই উচ্ছ্বাসে গ্যালারির দিকে দৌড়েছেন। বাংলাদেশে খেলতে এসে তারা ম্যাচটা বেশ উপভোগ করেছেন বলে মনে হয়েছে। তবে দর্শকসংখ্যা ততটা ছিল না। গ্যালারির টিকিট রাখা হয়েছিল ১ হাজার টাকা, যা অনেকের কাছে বেশি মনে হওয়ায় পশ্চিম দিকের স্ট্যান্ড প্রায় খালি ছিল। পূর্ব গ্যালারিতে কয়েক হাজার দর্শক বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে পরিবেশটাকে প্রাণবন্ত রেখেছিলেন।
৮ ডিসেম্বর আর্জেন্টিনার নিচের স্তরের একটি ক্লাবের মুখোমুখি হবে রাইজিং স্টার। ১১ ডিসেম্বর সিরিজের শেষ দিনে খেলবে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ক্লাব। সেদিন ম্যাচ দেখতে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু ও আর্জেন্টিনার সাবেক তারকা ক্লদিও ক্যানিজিয়ার।




