দেড় বছরের বেশি বিরতির পর ফিরল নারী ফুটবল লিগ। শৈতপ্রবাহ আর কনকনে ঠাণ্ডা উপেক্ষা করে ফ্লাডলাইটের আলোয় উদ্বোধনী ম্যাচে জয় দিয়ে লিগ শুরু করল সেনাবাহিনী। তনিমা বিশ্বাসের জোড়া গোলে সাফজয়ী তারকায় ঠাসা পুলিশ এফসিকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়েছে তারা।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে সোমবার নারী ফুটবল লিগের উদ্বোধনী ম্যাচটি হয়। তীব্র ঠাণ্ডার মধ্যেও গ্যালারিতে ছিলেন চার থেকে পাঁচ শ দর্শক। তাদের সামনেই সেনাবাহিনীর বিপক্ষে মাঠে নামে পুলিশ এফসি। সানজিদা আক্তার, আইরিন খাতুন, সাগরিকা ও কোহাতি কিসকুর মতো সাফজয়ী ফুটবলারদের নিয়ে গড়া দলটির বিপরীতে সেনাবাহিনী খেলায় বয়সভিত্তিক দলের নয় ফুটবলার নিয়ে।
অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে শুরু হওয়া এবারের নারী লিগে অংশ নিচ্ছে মোট ১১ দল। নতুন করে যুক্ত হয়েছে পুলিশ এফসি, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি, বিকেএসপি এবং রাজশাহী স্টার্স ফুটবল ক্লাব। চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ৪ লাখ টাকা প্রাইজমানি।
ম্যাচের শুরুতে আক্রমণাত্মক ছিল পুলিশ এফসি। ১২ মিনিটে বাম দিক দিয়ে আক্রমণ তুলে বক্সে বল পান সাগরিকা। তবে কঠিন কোণ থেকে নেওয়া শটটি সহজেই তালুবন্দী করেন সেনাবাহিনীর গোলকিপার মিলি আক্তার। এরপর দুই দলই মাঝমাঠে লড়াইয়ে ব্যস্ত থাকলেও স্পষ্ট সুযোগ তৈরি হচ্ছিল না।
৪০ মিনিটে হঠাৎ ম্যাচে প্রাণ ফেরান তনিমা বিশ্বাস। প্রায় ৩৫ গজ দূর থেকে নেওয়া তার লং রেঞ্জ শট হাওয়ায় ভেসে পুলিশের গোলকিপার তাসলিমার গ্লাভস ছুঁয়ে জালে জড়িয়ে যায়। প্রথমার্ধেই এগিয়ে যায় সেনাবাহিনী।
দ্বিতীয়ার্ধে সমতায় ফেরার জন্য চাপ বাড়ায় পুলিশ। ৫৬ মিনিটে সাবিনা খাতুন রুবির চিপ শট ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জালের দিকে যাচ্ছিল। কিন্তু সেনাবাহিনীর রক্ষণভাগের রুমা আক্তারের দ্রুত ক্লিয়ারেন্সে সেই শঙ্কা কেটে যায়।
৭০ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সেনাবাহিনী। সুলতানার থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে দূরূহ কোণ থেকে শট নেন তনিমা। বল পোস্টে লেগে জালে ঢুকলে নিজের দ্বিতীয় এবং দলের দ্বিতীয় গোল নিশ্চিত হয়।
শেষ পর্যন্ত তনিমার জোড়া গোলে ২-০ ব্যবধানে জিতে মাঠ ছাড়ে সেনাবাহিনী। উদ্বোধনী ম্যাচেই আত্মবিশ্বাসী এই জয় এবারের নারী লিগে তাদের শক্ত অবস্থানের ইঙ্গিত দিল।




