বহুল প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ-ভারত সাউথ এশিয়ান ক্লাসিকোর আর মাত্র কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা। আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭.৩০টায় শিলংয়ের জহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে দুই প্রতিবেশী। দুই দলের কাছেই ম্যাচটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ম্যাচ দিয়ে দুই দলই এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে যাত্রা শুরু করছে। একইসঙ্গে লড়াইটা মর্যাদার ও সম্মানের। কিন্তু এই ম্যাচে কেমন হবে বাংলাদেশের একাদশ?
বাংলাদেশ দলে হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি একাদশ নির্বাচনে বড় প্রভাব ফেলছে। সাধারণত ৪-৪-২ ডায়মন্ডশেপ ফরমেশনে খেললেও এবার হয়তো পরিবর্তন আসতে পারে। তবে ডিফেন্স লাইন থাকতে পারে আগের মতোই। গোলবারে মিতুল মারমা এবং তার সামনে দুই সেন্টার ব্যাক হিসেবে তপু বর্মন ও তারিক কাজীর খেলা প্রায় নিশ্চিতই বলা যায়। তাদের সঙ্গে দুই ফুলব্যাক সাদ উদ্দিন এবং ইসা ফয়সাল।
মাঝমাঠে আসবে পরিবর্তন। কারণ একাদশে আসবেন হামজা চৌধুরী। সেক্ষেত্রে ৪-৩-৩ ফরমেশন ব্যবহার করে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে মোহাম্মদ হৃদয় এবং তার সামনে দুই সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে হামজা চৌধুরী ও জামাল ভূঁইয়াকে খেলাতে পারেন বাংলাদেশ কোচ। হামজা রাইট মিডে ও জামাল লেফ্টেটে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জামাল প্রায়ই জাতীয় দলে বদলি হয়ে মাঠে নেমেছেন। তেমনটা এবার হলে সোহেল রানা সিনিয়র সেখানে জামালের জায়গা নিবেন।
৪-৩-৩ ফরমেশন ব্যবহার করলে রাইট উইংয়ে রাকিব, লেফট উইংয়ে ফাহিম, ইমন কিংবা ইব্রাহিম থেকে কে শুরু করবেন তা দেখার অপেক্ষা। লিগের পারফর্ম্যান্সে ফাহিম এগিয়ে থাকলেও প্রতিপক্ষে ডি-বক্সে বার বার তার সিদ্ধান্তহীনতা বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে। ফলে ইব্রাহিম এক্ষেত্রে এগিয়ে থাকতে পারেন। আর সেন্টার ফরোয়ার্ড পজিশনে আল-আমিন ও মোরসালিন থেকে একজনওকে আশা করলেও একাদশে দাবি জানিয়ে রাখছেন শাহারিয়ার ইমন। লিগে আবাহনীর হয়ে ভালো মৌসুম কাটাচ্ছেন তিনি। ঘরোয়া ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলদাতা আল-আমিন বদলি হিসেবে নেমে পার্থক্য গড়ে দেয়ার কাজটা তখন করবেন।
ফরমেশন কিংবা কৌশল যেমনই হোক না কেন, ভারতের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্যেই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সেক্ষেত্রে ফর্মে থাকা ফুটবলারদের নিয়ে একটা শক্তিশালী একাদশ নির্বাচন করবেন হাভিয়ের ক্যাবরেরা – এমনটাই প্রত্যাশা ফুটবল প্রেমীদের।