বাংলাদেশের ফুটবল যেনো ঢাকার ভেতরে আবদ্ধ। ক্লাব ফুটবল কিংবা জাতীয় দল সবকিছুতেই যেনো ঢাকা কেন্দ্রিকতা। এবার এই ঢাকা কেন্দ্রিকতা কাটাতে যাচ্ছে ফেডারেশন। দেশের ফুটবলকে সকলের কাছে পৌঁছে দিতে এমন উদ্যোগ হাতে নিতে যাচ্ছে বাফুফে। এক্ষেত্রে ফেডারেশনের হাতের তুরুপের তাস হতে যাচ্ছে হামজা চৌধুরী ও সমিত সোমরা।
বর্তমানে বাংলাদেশের ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকা হামজা চৌধুরী। হামজা চৌধুরীর বাংলাদেশের হয়ে খেলার পর থেকে পূর্বের চেয়ে বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তের সংখ্যা বেড়েছে। ভক্তদের চাওয়া ছিলো হামজার মতো সমিত সোমকেও বাংলাদেশের জার্সিতে দেখতে, তাদের সেই ইচ্ছাও পূরণ হওয়ার পথে।
আগামীতে ফিফা উইন্ডোতে ভারত ও হংকংয়ের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। তাই হামজা-সোমদের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে ঢাকার বাইরে ফুটবলকে স্থানান্তর করার চেষ্টা করছে ফেডারেশন। এক্ষেত্রে ফেডারেশনের প্রথম পছন্দ চট্টগ্রাম ও সিলেট। চট্টগ্রামের ভেন্যুতে কোনো বড় ধরনের সমস্যা না থাকলেও সিলেট স্টেডিয়ামের মাঠসহ ফ্লাডলাইট জনিত কিছু সমস্যা রয়েছে। তবে তা সমাধানে কাজ করছে বাফুফে।
তবে সমস্যা থাকলেও সিলেটের মাঠ নিয়ে আশাবাদী বাফুফে’র সদস্য ইকবাল হোসন তিনি বলেন,
“সিলেটে তো বৃষ্টি বেশী হয়, এখন যেহেতু চলমান লিগ সিলেটে হচ্ছে না তাই মাঠের ঘাস একটু বড় তবে আমি আশা করছি এখন যা অবস্থা, সে অবস্থাতে খেলা পরিচালনা করা যাবে।” এছাড়া ফ্লাডলাইট জনিত সমস্যা নিয়ে তিনি বলেন, “ফ্লাডলাইটের যে সমস্যা, তাদের সাথে বসে আমরা কথা বলেছি। ফ্লাডলাইট ঠিক আছে, হয়তোবা বকেয়া কিছু বিল বাকি আছে।”
এএফসি নিয়ম অনুযায়ী গ্যালারিতে দর্শকদের জন্য চেয়ারের ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক। চট্টগ্রামে সে ব্যবস্থা নেই। তবে ফেডারেশন খুব সমস্যা সমাধান করবেন বলে জানান ইকবাল হোসেন,
“এএফসির নিয়ম অনুযায়ী মাঠের মধ্যে চেয়ারের ব্যবস্থা থাকতে হবে, যেটা চিটাগংয়ে নাই। আমরা ফেডারেশন থেকে ইতিমধ্যে চেয়ারের বেশকিছু নমুনা সংগ্রহ করেছি। অতিশীঘ্র আমরা চেয়ারের কাজে হাত দিবো। চেয়ারের কাজ হয়ে গেলে আমাদের শুধু আন্তজার্তিক ম্যাচ না, আমাদের যে বয়সভিত্তিক লিগগুলা সেগুলা ভেন্যু ঢাকার বাইরে চিটাগংয়ে করা যাবে।”
পরিকল্পনা ঠিকভাবে সম্পন্ন করতে পারলে চট্টগ্রাম কিংবা সিলেটের মাঠে ভারত ও হংকংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। তবে যদি তাতে ব্যর্থ হয় বিকল্প ভেন্যু ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামকে হাতে রাখছে ফেডারেশন।