দীর্ঘ ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফেরাটা সুখকর হলো না বাংলাদেশের মেয়েদের। সাফের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা নেপালের কাছে টাইব্রেকারে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করেছে। আজ কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে নেপালের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। ফলে সিরিজ নির্ধারণের জন্য ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। কেননা প্রথম ম্যাচও শেষ হয়েছিল ১-১ গোলের সমতায়। টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হেরে যায় বাঘিনীরা।

গত ম্যাচের একই একাদশ নিয়ে মাঠে নামলেও এদিন নেপালের আধিপত্য ছিল বেশি। শুরুর অর্ধে কয়েকটা দারুণ আক্রমণ করেছেন নেপালের ফরোয়ার্ড সাবিত্রা ভান্ডারী। তবে রূপনা চাকমার দেয়াল ভেদ করে গোলের দেখা পায়নি সফরকারীরা। এ অর্ধে গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল বাংলাদেশও। তবে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল গোলের সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বাংলাদেশ তিন জন খেলোয়াড় পরিবর্তন করে৷ রিতু পর্ণা চাকমা, সুমাইয়া, রিপাকে নামান কোচ মাহবুবুর রহমান লিটু। খেলোয়াড় পরিবর্তন করেও ম্যাচের ফলাফল বদলাতে পারেনি বাংলাদেশ।

গত ম্যাচে বাংলাদেশ ইনজুরি সময়ে গোল হজম করে ম্যাচ ড্র করেছিল। আজ ইনজুরি সময়ে গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ গোল করতে পারেনি। খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে পাঁচ শটের মধ্যে নেপাল চারটি গোল করেছে। আর চার শটে বাংলাদেশ করেছে মাত্র দু’টি। ফলে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে জিতে ট্রফির দখল নিলো নেপাল। সফরকারী দলটির ট্রফি জয়ের নায়ক গোলরক্ষক রানা মাগার। তিনি নির্ধারিত সময়ের ইনজুরি সময়ে মাঠে নেমেছিলেন। টাইব্রেকারে বাংলাদেশের হয়ে গোল করেন শামসুন্নাহার এবং মনিকা চাকমা। আর গোল মিস করেছেন শিউলি আজিম এবং মারিয়া মান্ডা। নেপালের হয়ে সাবিত্রা ভান্ডারী, হীরা কুমারী, মনিকা গোল করেন। তাদের একমাত্র পেনাল্টিটি মিস করেন গোলরক্ষক রানা মাগার।

Previous articleপঞ্চাশতম ম্যাচে মাঠে নামছে নারী দল; ড্র হলে সরাসরি টাইব্রেকার!
Next articleপ্রীতি ম্যাচের প্রতিপক্ষ নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ড্র’য়ের দিকে বাফুফের নজর!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here