আজ বহুল আলোচিত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন নির্বাচন। ঢাকার প্যান প্যাসেফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নির্বাচনটি। সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়ে কে ধরবে আগামী চার বছরের জন্য দেয়ের ফুটবলের হাল, তা দেখার অপেক্ষায় ফুটবল প্রেমীরা।
নাটকীয়তায় ভরপুর ছিলো এবারের নির্বাচনের সময়টি। সব নাটকীয়তার কেন্দ্রবিন্দু সভাপতি পদদ৷ কাজী সালাউদ্দিন গত ১২ বছর থেকে সভাপতির চেয়ার আকড়ে ধরে আছেন। সেখানে তার বিরোধী এসেছিলেন অনেকে। কিন্তু সময় গড়িয়ে সালাউদ্দিনের অবস্থান আরো শক্ত হয়েছে। একটা সময় নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী হওয়ার কথা জানালেও তরফদার রুহুল আমিনের সরে যাওয়াতে তা আর বেশিদূর যায় নি। অন্যদিকে মোহামেডানের বাদল রায় কিনেছিলেন সভাপতি পদের মনোনয়ন তবে প্রত্যাহার করেছেন তিনিও। প্রত্যাহারের সময়সীমার মধ্যে প্রত্যাহার পত্র জমা না দেয়ায় তারও নাম উঠে আসে ব্যালট পেপারে। গুঞ্জন ছিলো বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবারো সভাপতি হতে যাচ্ছেন কাজী সালাউদ্দিন। তবে সেই গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে সভাপতি পদে মনোনয়ন পত্র ক্রয় করেন শেখ জামালের ডিসি’র কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। এতে নির্বাচনের মাঠ সরগরম হয়ে উঠল। নির্বাচনে সালাউদ্দিন-মূর্শেদী মিলে গড়ে তুলেছেন সম্মিলিত পরিষদ। দিয়েছেন প্রতিশ্রুতিপূর্ণ ৩৫ দফা নির্বাচনী ইশতেহার। অন্যদিকে সাবেক তারকা ফুটবলার শেখ মোহাম্মদ আসলামের নেতৃত্বে সমন্বয় পরিষদ গঠন করা হয়। নির্বাচনের দুদিন আগে তারা দিয়েছেন ২৪ দফা ইশতেহার।
নির্বাচনের আগে রাতে এসে আবারও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন বাদল রায়। সমন্বয় পরিষদ নাম দিয়ে তিনি প্রকাশ করেন একটি তালিকা। এতে সবার মধ্যেই উত্তেজনার তৈরি হয়। তবে অফসাইডের সাথে কথা বলে তিনি জানান এই তালিকাটি তার পছন্দের লোকদের নিয়ে গড়া, অর্থাৎ যারা বাফুফেতে আসলে আসলেই পরিবর্তন সম্ভব তাদের নাম এই তালিকায় দিয়েছেন তিনি। এছাড়া আসলাম-মারুফদের সমন্বয় পরিষদ থেকেও নিশ্চিত করা হয় তাদের কোন সভাপতি প্রার্থী নেই এবং বাদল রায়ের দেয়া তালিকার সাথে তাদের পরিষদের কোন সম্পর্ক নেই।
এবারের নির্বাচনে সহ সভাপতি পদের লড়াইটা হবে সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক। কারন ৪ পদের জন্য এবার লড়ছেন ৮ হ্যাভিওয়েট প্রার্থী। তাদের মধ্যে সবার চোখ বসুন্ধরা কিংসের সফল সভাপতি ইমরুল হাসানের দিকে। এবার মোট প্রার্থী সংখ্যা ৪৭। এদের মধ্যে একটি সভাপতি পদের জন্য ৩, সিনিয়র সহ-সভাপতি এক পদের জন্য ২, চার সহ-সভাপতি পদের বিপরীতে ৮ জন এবং ১৫টি সদস্য পদের জন্য লড়ছেন ৩৪ প্রার্থী। কাউন্সিলরদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবের রয়েছেন ৫৩ জন, জেলা ও বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ৭২ এবং অন্যান্য ভোটার রয়েছেন ১৪ জন।