বর্তমানে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফের) সদস্য সংখ্যা ২১ জন। এই ২১ জন নির্বাচিত হন ১৩৯ জন ভোটারের মাধ্যমে। নির্বাহী পরিষদের আকার ও ভোটার সংখ্যা উভয়ই ফিফার কাছে বেশি মনে হয়। তাই ফিফা বাফুফেকে উভয় সংখ্যা কমানোর সুপারিশ জানিয়েছে। আজকে অনুষ্ঠিত নির্বাহী কমিটির সভায় ফিফার এই নির্দেশনা এবং গঠনতন্ত্রের সংশোধন ছিল মূল গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা।
সভা শেষে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদি বলেন, ‘ফিফা আমাদের অভিভাবক সংস্থা। তাদের নির্দেশনা মেনেই আমাদের চলতে হয়। ফিফা আমাদের কার্যনির্বাহী পরিষদ এবং কাউন্সিলর কিভাবে কমানো যায় এই ব্যাপারে প্রতিবেদন চেয়েছে। আমরা এ নিয়ে কাজ করছি।’
ফিফার নির্দেশনা মেনে বাফুফের নির্বাহী কমিটি ১১/১৩ সদস্যের করার পক্ষপাতী বাফুফের একটি নীতিনির্ধারক পক্ষ।
বাফুফে সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘ফিফা যেহেতু প্রতিবেদন চেয়েছে সভাপতি নিশ্চয়ই একটি কমিটি করে এই বিষয়টি দেখবেন। ফিফা অবশ্যই আমাদের পর্যবেক্ষণ এবং তদারকি করবেন। আমাদের জনসংখ্যা, আয়তন, কাঠামো ইত্যাদি বিষয় বিচার বিবেচনা করে আমরা আমাদের অবস্থান তুলে ধরে ফিফার সঙ্গে আলোচনা করব।’
এ বিষয়টি তদারকির জন্য বাফুফে সভাপতি ৩ সদস্যের একটি কমিটি করে দিবেন। তারাই ফিফার সাথে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।
বাফুফে নির্বাচনে ভোটারদের নিয়েও প্রশ্ন। সব কিছু পর্যালোচনা করে বাফুফেকে ইজিএমে উঠাতে হবে। সেই ইজিএম পাশ করলে পরবর্তী ফিফায় পাঠাতে হবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য। সব কিছু চূড়ান্ত হলে ২০২৪ সালের নির্বাচন থেকে কার্যকর হবে। তবে বাফুফের একটি পক্ষ চায় ২০২৪ নয় সংক্ষিপ্ত কমিটি কার্যকর হোক ২০২৮ নির্বাচন থেকে।