দেশের ঐতিহ্যবাহী খেলাধুলার মাঠের ভেতর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ঐতিহ্যের দিক থেকে সবার উপরে। এছাড়া বাংলাদেশের ফুটবলের প্রধান ভেন্যুও এটি। তবে এই ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়ামের অবকাঠামোগত অবস্থান খুবই ভঙ্গুর। শেষবার ২০১১ সালে আইসিসি বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে প্রায় ৩২ কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয়েছিল এই স্টেডিয়াটির।
৮ বছর পর ৯৮ কোটি ৩৬ লাখ ২৭ হাজার টাকা ব্যয়ে শুরু হবে স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে নতুন রূপে দাঁড়াবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। দর্শক গ্যালারির চেয়ার থেকে শুরু করে মাঠের পানি নিষ্কাশন সিস্টেমও উন্নত নয় এই স্টেডিয়ামের। গ্যালারির বেশিরভাগ চেয়ারের অবস্থা খুবই নিম্নমানের। এছাড়া বর্ষা মৌসুমে মাঠে পানি জমে,এতে কাদাযুক্ত মাঠে চলে খেলা।
তবে এই সংস্কারের আমূল বদলে যাবে মাঠের চেহারা। মাঠ উন্নয়ন, গ্যালারিতে শেড নির্মাণ, গ্যালারিতে চেয়ার স্থাপন, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় খেলোয়াড়দের ড্রেসিংরুম আধুনিকায়ন, ফ্লাডলাইট স্থাপন, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন, জেনারেটর স্থাপন, এলইডি জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো, নতুন অ্যাথলেটিক ট্র্যাক স্থাপন, ডিজিটাল বিজ্ঞাপন বোর্ড স্থাপন, মিডিয়া সেন্টার তৈরি, টিকিট কাউন্টার, ডোপ টেস্ট রুম তৈরি, চিকিৎসা কক্ষ, ভিআইপি বক্স নির্মাণ, প্রেসিডেন্ট বক্স, টয়লেট উন্নয়ন, চিকিৎসা সরঞ্জাম, সাব-স্টেশন সরঞ্জাম, এসি ও সৌর প্যানেল সরবরাহ- এই কাজগুলো থাকছে স্টেডিয়াম সংস্কারে। ‘ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন’- শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
এই প্রকল্প সম্পন্ন হবে তিন অর্থবছরে। ২০১৯-২০, ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ এই তিন বছরে ভাগ করা হয়েছে কাজ। মাঠের বর্তমান কাঠামোর উপর ভিত্তি করেই হবে এই সংস্কার কাজ। বরাদ্দ অর্থ গুলো কোন কোন খাতে ব্যয় হবে এই নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহকারী পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) সুকুমার সাহা। তিনি জানান, ‘সবচেয়ে বেশি, ২৩ কোটি টাকার মতো লাগবে গ্যালারিতে শেড বসাতে। অ্যাথলেটিক ট্র্যাক স্থাপনের জন্য খরচ হবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ, প্রায় ২০ কোটি টাকা। প্রায় ১৫ কোটি টাকা লাগবে ফ্লাডলাইট স্থাপনে, গ্যালারিতে চেয়ার বসাতে লাগবে ১০ কোটি টাকার মতো। বড় খরচ এগুলোই।’
এখন সুধুই অপেক্ষা স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের কতটুকু পরিবর্তন ঘটে।