বাংলাদেশ-ভারত হাইভোল্টেজ ম্যাচের ফলাফল একপাশে সরিয়ে যদি বলা হয় সেরা পারফর্মার কে? কিংবা এই ম্যাচের ম্যান অফ দা ম্যাচ কে? একটা জবাবই আসবে – হামজা চৌধুরী। ম্যাচ শেষে সাংবাদিকরা অপেক্ষায় ছিলেন হামজার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলা এই মিডফিল্ডার প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের জার্সিতে নেমেছিলেন, তাই তাকে ঘিরে ছিল বাড়তি আগ্রহ।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশ দল ড্রেসিংরুম ছাড়ে। একে একে বের হন খেলোয়াড়রা। এরপর ম্যানেজার আমের খান মিডিয়ার সামনে আনেন হামজাকে। নিজের অভিষেক নিয়ে তিনি বলেন, “আমি খুবই গর্বিত। অনেক গর্বিত লাগছে।” জাতীয় সঙ্গীতের সময়ের অনুভূতি জানিয়ে বলেন, “অনেক অসাধারণ লাগছে সেই সময়।”
বাংলাদেশ শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। প্রথমার্ধের পারফরম্যান্স নিয়ে হামজার মূল্যায়ন ছিল, “প্রথমার্ধে খুব ভালো খেলেছিলাম আমরা। কলিগদের (সতীর্থ) নিয়ে আমি খুব গর্বিত। তারা অনেক কঠোর পরিশ্রম করছে।”
পুরো ম্যাচজুড়ে ট্যাকেল, সতীর্থদের উজ্জীবিত করা ও রেফারির সঙ্গে আলোচনায় ছিলেন হামজা। দলীয় স্পিরিট নিয়ে বলেন, “আমরা সবাই গুড টিম স্পিরিট নিয়ে খেলছি।” তবে গোলের সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় খানিকটা আক্ষেপ ঝরে পড়ে তার কণ্ঠে, “আমরা জয় প্রাপ্য ছিলাম। ফুটবলে মিস হতেই পারে, ইপিএলেও মিস হয়।”
অভিষেক ম্যাচে সমর্থকদের ভালোবাসায় অভিভূত হয়ে হামজা বলেন, “পজিটিভ ভাইভ বজায় রাখতে হবে।” সাক্ষাৎকার শেষে বাসে ওঠার আগে সবার জন্য রেখে যান ঈদের শুভেচ্ছা—”ঈদ মোবারক!”
বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল আগামীকাল সকাল সাড়ে ৭টায় শিলং থেকে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে যাবে। সেখান থেকে কলকাতা হয়ে বাংলাদেশ সময় বিকেল সোয়া ৫টায় ঢাকায় পৌঁছাবে। আর সপরিবারে ভারত থেকেই ইংল্যান্ডের বিমান ধরবেন হামজা চৌধুরী। জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আবারো বাংলাদেশে ফিরবেন তিনি।