বাংলাদেশের ফুটবলে প্রাণ সঞ্চারকারী হামজা চৌধুরী ক্লাব ফুটবলে খেলছেন ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নশীপের দল শেফিল্ড ইউনাইটেডে। ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়নশিপের ৪৬ ম্যাচের দীর্ঘ মৌসুম শেষে ৯০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের তৃতীয় স্থানে মৌসুম শেষ করেছে ‘দ্য ব্লেডস’ খ্যাত শেফিল্ড ইউনাইটেড। যদিও মৌসুমের শেষ দিকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ম্যাচে হার তাদের সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে ওঠার স্বপ্ন থেকে বঞ্চিত করেছে, তবে সামনে এখনো আছে দ্বিতীয় সুযোগ—প্লে-অফ রাউন্ড।
চ্যাম্পিয়নশিপের নিয়ম অনুযায়ী, টেবিলের তিন থেকে ছয়ে থাকা দলগুলো প্রিমিয়ার লিগে উঠতে প্লে-অফে মুখোমুখি হয়। এবারের প্লে-অফে শেফিল্ড ইউনাইটেডের প্রতিপক্ষ হিসেবে আছে সান্ডারল্যান্ড, কভেন্ট্রি সিটি ও ব্রিস্টল সিটি। প্রথম সেমি-ফাইনালেই ৯ মে ব্রিস্টলের বিপক্ষে প্রথম লেগে মাঠে নামবে হামজার দল। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগ অনুষ্ঠিত হবে ১৩ মে। দুই লেগ মিলিয়ে যারা জয়ী হবে, তারা খেলবে অপর সেমি-ফাইনালের বিজয়ীর বিপক্ষে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ২৪ মে। এই ফাইনাল ম্যাচের বিজয়ী দলই পাবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার সুযোগ।
চলতি মৌসুমে ব্রিস্টলের বিপক্ষে শেফিল্ড একটি ম্যাচে জয় এবং একটি ড্র করেছে। সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে রয়েছে এক জয় ও এক হার। কভেন্ট্রির বিপক্ষেও রয়েছে একই ফলাফল—একটি জয় ও একটি ড্র। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিপক্ষদের তুলনায় শক্তিমত্তায় এগিয়ে হামজার শেফিল্ড ইউনাইটেড। তবে লিগের শেষের দিকের পারফরম্যান্স নিয়ে কিছুটা চিন্তার কারণ থেকেই যাচ্ছে। ছন্দপতনের সেই ধারাবাহিকতা যদি প্লে-অফেও দেখা যায়, তবে স্বপ্নভঙ্গ হতে পারে একেবারে শেষ মুহূর্তে।
কিন্তু পুরো বিষয়টি আরও জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছে হামজা চৌধুরীর জন্য। কারণ, তিনি এখনো কাগজে-কলমে লেস্টার সিটির খেলোয়াড়। লেস্টার আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নশিপে খেলবে। ফলে, শেফিল্ড যদি প্রিমিয়ার লিগে উঠেও যায়, হামজার সেখানে খেলার বিষয়টি নিশ্চিত নয়। তাকে স্থায়ীভাবে কিনে নেওয়া না হলে বা ধারে না রাখা হলে, প্রিমিয়ার লিগে ফেরাও তার জন্য অনিশ্চিতই রয়ে যাবে।