এএফসি কাপের গ্রুপ ‘ডি’-এর উদ্বোধনী ম্যাচে এই গ্রুপের হট ফেভারিট এটিকে মোহনবাগানকে ৪-২ গোলে হারিয়ে বড় চমক দিয়েছিল আই লিগের ক্লাব গোকুলাম কেরালা। তাইতো দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ফেভারিটের তালিকায় থাকলেও বসুন্ধরা কিংসের সমর্থকরা হয়তো কিছুটা বিচলিতই ছিলেন। কিন্তু হতাশ করেনি বসুন্ধরা কিংস। মালদ্বীপের মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই টুর্নামেন্ট শুরু করেছে অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা। বসুন্ধরা কিংসের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড নুহা মারং।

কলকাতার ঐতিহ্যবাহী সল্ট লেক স্টেডিয়ামে মাচের শুরু থেকেই দাপট দেখায় বসুন্ধরা। ৫ম মিনিটে ইয়াসিন আরাফাতের ক্রসে নুহা মারংয়ের হেড মাজিয়ার হাইশাম হাসানের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। এরপর ১১তম মিনিটে অধিনায়ক রবসন রবিনহোর ডান পায়ের জোরালো শট ফিরে আসে সাইড বারে লেগে, ফিরতি বলে ফাঁকা জাল পেয়েও বল জড়াতে ব্যর্থ হন ইব্রাহিম। তবে ম্যাচের বয়স আধ ঘন্টা পেরোনোর পরপরই বসুন্ধরাকে উল্লাসে ভাসান নুহা। সোহেল রানার বাড়ানো লং বল মাজিয়ার ডিফেন্ডার সামোহ আলী এবং গোলরক্ষক কিরণ চেমজংয়ের ভুল বোঝাবুঝিতে চলে আসে নুহার কাছে। আলতো হেডে গোল করে প্রতিপক্ষের করা ভুলের পুরো ফায়দা হাসিল করেন এই ফরোয়ার্ড। তবে গোল খেয়ে অনেকটাই গা ঝাড়া দিয়ে ওঠে মালদ্বীপের চ্যাম্পিয়নরা। ৩৯তম মিনিটে সেন্ট ভিনসেন্ট জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড কর্নেলিউইয়াস স্টুয়ার্টের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন কিংস গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। ফলে ১-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নরা।

বিরতি থেকে ফিরে কিংসের ওপর অনেকটাই চাপ সৃষ্টি করে মাজিয়া। বসুন্ধরা কিংসও প্রথমার্ধের তুলনায় কিছুটা ধীর গতির ফুটবল খেলে। ফলে বেশ কয়েকবার কিংসের রক্ষণে হানা দেয় মাজিয়া। তবে রক্ষণভাগে শতভাগ আস্থার প্রতিদান দেন খালেদ শাফেঈ, বিশ্বনাথ ঘোষরা। তবে রাইট ব্যাক পজিশনে তারিক কাজীকে বেশ কয়েকবার বোকা বানিয়ে কিংসের রক্ষণে ঢুকে পড়েন হামজা মোহাম্মদ। যদিও শেষ পর্যন্ত ফিনিশিং টাচ দেওয়ার অভাবে গোল পাওয়া হয়নি মিওড্রাগ জেসিকের শিষ্যদের। এই ম্যাচেই এএফসি কাপে অভিষেক হয় এলিটা কিংসলের। হয়তো একটা গোলও পেতে পারতেন কিংসলে। কিন্তু তার গোলের পথে বাঁধা হয়ে দাঁড়ান মাজিয়ার নেপালি গোলরক্ষক কিরণ। কিংসলে ছাড়াও দ্বিতীয়ার্ধে মিগুয়েল দামাসেনার শটও ফিরিয়ে দেন এই গোলরক্ষক। শেষ পর্যন্ত আর গোল শোধ হয়নি মাজিয়ার, আর কিংসও পারেনি ব্যাবধান বাড়াতে। তাইতো ১-০ গোলের জয় তুলে নিয়েই মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা কিংস।

এই জয়ে গোকুলাম কেরালার সমান ৩ পয়েন্ট হলেও গোল ব্যবধানে গ্রুপ ‘ডি‘ এর দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান বসুন্ধরা কিংসের। আগামী ২১ মে একই ভেন্যুতে এটিকে মোহনবাগানের মুখোমুখি হবে কিংস, যে এটিকে মোহনবাগান তাদের প্রথম ম্যাচে গোকুলাম কেরালার কাছে হেরেছে ৪-২ গোলে!

Previous articleজয় দিয়েই এএফসি কাপ মিশন শুরুর প্রত্যাশা ব্রুজনের
Next articleক্যাবরেরার টেকনিক সম্পূর্ণ ভিন্ন – সাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here