থাইল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৩-০ গোলে হারের পর খেলোয়াড়দের মানসিকতা ও আচরণ নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের ইংলিশ কোচ পিটার বাটলার। তবে দ্বিতীয় ম্যাচের আগের ভিডিওবার্তায় তিনি সুর নরম করে কৌশলগত প্রস্তুতি ও বাস্তবতা মেনে এগোনোর কথা তুলে ধরেছেন।
প্রথম ম্যাচে কিছু খেলোয়াড়ের মানসিকতা ও আচরণ নিয়ে সরাসরি তোপ দাগা পিটার রোববার জানান, “আগের ম্যাচে মেয়েরা ভালো ফুটবল খেলেছে, কিন্তু কিছু মৌলিক ভুল হয়েছে। যেমন প্রথম ৪৫ সেকেন্ডে গোল হজম করা, যা সবসময় চাপ তৈরি করে। অনুশীলনে মেয়েদের মানসিকতা খুবই ভালো ছিল, তাই আমি সন্তুষ্ট।”
কোচ পিটার বাটলার বলেন, তিনি কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেছেন এবং তাদের চিন্তাধারায় সন্তুষ্ট। বিশেষ করে এক-দুজন খেলোয়াড়কে তিনি সত্যিকার অর্থে ম্যাচ উইনার মনে করেন। আগের ম্যাচে তারা তাদের সামর্থ্য পুরোপুরি প্রমাণ করতে পারেনি।
তিনি থাইল্যান্ডের শক্তি ও দলের কৌশল নিয়েও আলোচনা করেন। বলেন, “আমরা সিস্টেমে কিছুটা পরিবর্তন এনেছি। কিছু জায়গায় ঘাটতি রয়েছে, যা পূরণ করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য একটি মোমেন্টাম তৈরি করা — এটি একটি ধরনের অপারেশন রিসেটের মতো।”
পিটার বাটলার স্মরণ করান, “শেষবার বাংলাদেশ যখন থাইল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিল, তখন ফলাফল ৯-০ ছিল। আমরা যে খেলাই খেলি না কেন জিততে চাই। তবে বাস্তবতাকে মাথায় রাখতে হবে। থাইল্যান্ড খুবই ভালো দল এবং তারা মাঠে তা দেখাবে।”
দলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কোচ বলেন, “বেঞ্চ দেখে প্রতিপক্ষের শক্তি বোঝা যায়। তাদের বেঞ্চেও শক্তিশালী দল আছে। তাই আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে। মানদণ্ড দাঁড় করানো ও আরও পেশাদার হতে গেলে প্রথমে সেই পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে, যেখানে থাইল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে জয় সম্ভব।”
তবে কোচ বিশ্বাসী, বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা থাইল্যান্ডকে সমস্যায় ফেলতে পারবে। “চায়নিজ তাইপের পর আমরা ঘরের মাঠে কোনো ম্যাচ খেলিনি। দেশের বাইরে ম্যাচের চেয়ে ঘরের মাঠে জয় সহজ। এটা আমাদের জন্য সুবিধা হতে পারে,” তিনি বলেন।
দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সোমবার বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টায়।




