দীর্ঘসময় অপেক্ষার পর অবশেষে অভাগার ভাগ্যে জয় এসেছে। এই জয়ের পুনরুত্থানের গল্প রবার্ট ব্রুসের স্কটল্যান্ড জয়ের কাহিনীকে হার মানিয়েছে। বলছিলাম ঘরোয়া লীগের দল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির কথা। আজ লীগের ১৮ তম রাউন্ডে তারা মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে পরাজিত করে।

শেষবার তারা জয় পেয়েছিলো লীগের সপ্তম রাউন্ডে এই মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষেই। আজ মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ১০ ম্যাচ পর রীতিমতো তান্ডব চালিয়ে ৭-১ গোলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদকে উড়িয়ে দেয় রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি।

ম্যাচের ২৫ মিনিটে মাঠের বামপ্রান্ত থেকে মাহমুদুল হাসান কিরণের ফ্রি-কিকে গানাইয়ান ফরোয়ার্ড ফিলিপ আদজার হেডে বল খুঁজে পায় জালের দেখায়। ৩৭ মিনিটের রহমতগঞ্জের মাথায় বদলি হিসেবে নামা নাইমুর শাহেদের ক্রস থেকে মুক্তিযোদ্ধার রক্ষণভাগের খেলোয়াড় মেহেদী হাসান ক্লিয়ার করতে গেলে বল গোলবারে লেগে ফিরে আসে, সেই ফিরতি বলের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে লিড দ্বিগুণ করে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা।

প্রথমার্ধের শেষ মুহুর্তে নবাবের গোলে ব্যবধান কমিয়ে আনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। সদি আবদুল্লাহর থ্রু পাস থেকে বক্সের ভেতরে বল নিজের দখলে নেয় নবাব। বলকে কতক্ষণ নিজের পায়ে রেখে রহমতগঞ্জের দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে বাম পায়ের শট নিয়ে গোলরক্ষক জিয়াউর রহমানকে কোনো সুযোগ না দিয়ে গোল আদায় করে নেয় নবাব। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উপর আরো আক্রমণের চাপ বাড়ায় রহমতগঞ্জ। যার ফল আসে ম্যাচের ৬৯ মিনিটে আল-আমিনের এক দুর্দান্ত গোলের মাধ্যমে। মাঠের ডানদিক থেকে আল-আমিনের এক শট বাতাসে ভেসে গোলে পরিণত হয়।

ম্যাচের ৮০ থেকে শুরু হয় রহমতগঞ্জের মূল তান্ডব। ৮০ মিনিটে মামুনুল ইসলামের ফ্রি কিক থেকে লাফিয়ে উঠে হেড করে ব্যবধান ৪-১ করে নেয় লেন্সিন তোরে। ৮৬ ও ৮৯ মিনিটে খন্দকার আশরাফুল ইসলাম ও সানডে চিজোবা গোল করলে আধডজনের সীমানা ছুঁয়ে ফেলে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুঁকে দেয় ফিলিপ আজদা। দ্বিতীয়ার্ধের ইঞ্জুরি টাইমে সতীর্থের লম্বা বাড়ানো বল থেকে প্রতিপক্ষের একজনকে পিছনে ফেলে বক্সের ভেতরে ঢুকে রক্ষণের আরেকজনকে পরাস্ত করে বদলি গোলরক্ষক লিমন হোসেনের মাথার উপর দিয়ে তুলে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে। এতে করে ৭-১ গোলে বিশাল ব্যবধানে জয় পায় রহমতগঞ্জ।

Previous articleলাওস, কম্বোডিয়া, হংকং; কে হবে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ?
Next articleপুলিশের কাছে পরাজিত হয়ে অবনমনের আরো কাছে স্বাধীনতা!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here