অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে শিরোপার দেখা পেলো বসুন্ধরা কিংস। দুই ম্যাচ হাতে রেখে শিরোপা জয়ের পর ঢাকা আবাহনীর সাথে ম্যাচের পর ফেডারেশনের কাছে শিরোপা ট্রফি প্রদানের জন্য অনুরোধ করেছিলো। তবে ফেডারেশন তাদের অনুরোধে সম্মতিসূচক সাড়া না দিয়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ট্রফি প্রদানের কথা বলেছিলো। তাই আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে ট্রফি গ্রহণের জন্য নিজেদের মাঠ বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের মুখোমুখি হয়েছিলো কিংস। ম্যাচে ২-১ গোলে জয় লাভ করে কিংস।

ম্যাচের অষ্টম মিনিটে বসুন্ধরা কিংসের হয়ে প্রথম গোলটি করে মতিন মিয়া। দুই বিদেশী সতীর্থ খেলোয়াড় রবসন রবিনিও এবং নুহা মারাঙ্গের দেওয়া-নেওয়া ও এরপর ডানদিক থেকে জোরালো এক শটে বলকে জালে পাঠিয়ে বসুন্ধরা কিংসকে লিড এনে মতিন মিয়া। বসুন্ধরা কিংসের খেলা মানেই যেনো রবসনের গোল।

ম্যাচের ৫৩ মিনিটে তা আরো একবার প্রমাণ করে দেখালেন কিংসদের এই ব্রাজিলিয়ান প্রাণভোমরা। নুহা মারাঙ্গ থেকে বল পেয়ে জায়গা বের করে ডান পায়ে এক অগ্নিগোলক ছুড়ে দিয়ে কাঁপিয়ে দেন ধানমন্ডি ক্লাবের গোলবার। ফলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস। ৬৯ মিনিটে মাঠের ডানপ্রান্ত দিয়ে আতিকুজ্জামান বক্সের ভেতরে লম্বা করে বল বাড়ালে সেটি লুফে নিতে নিজের জায়গা থেকে বেরিয়ে আসে বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক হামিদুর রহমান। কিন্তু বল তার হাত ফসকে বেরিয়ে এলে সুযোগটি কাজে লাগিয়ে একটি গোল শোধ করেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বদলি হিসেবে নামা খেলোয়াড় সোহান।

দ্বিতীয়ার্ধের যুক্ত করা সময়ের একেবারে শেষ মিনিটের মাথায় প্রতি আক্রমনে থাকা মাহবুবুর রহমান সুফিলকে ফাউল করে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় হলুদ কার্ডের কারণে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন শেখ জামালের ভানিজনোভ ওতাবেক। তবে তিনি একা মাঠ ছাড়েননি, ফাউলটির পর আগ্রাসী হয়ে আসা কিংস ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ ওতাবেককে ফাউল করলে তাকেও লাল কার্ড দেখান রেফারি। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের ব্যবধানে ম্যাচ জিতে নেয় বসুন্ধরা কিংস।

Previous articleপ্রমিলা সাফে বাংলাদেশের গ্রুপে ভারত ও পাকিস্তান!
Next articleটিকে রইলো মুক্তিযোদ্ধা, অবনমন হলো উত্তর বারিধারা!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here