দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সব ক্ষেত্রেই পরিবর্তন আসতে শুরু করেছে। যার থেকে ক্রীড়াঙ্গন এবং ফুটবলও ব্যতিক্রম নয়। আগামী মাসেই রয়েছে বাফুফের নির্বাচন। সে নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (ডিএফএ) সদস্যদের নিয়ে এক সভা আয়োজিত হয়েছে। সভায় উস্থিত ছিলেন সাবেক ফুটবলার আমিনুল হক এবং বিভিন্ন ডিএফএ’র সদস্যরা।
আগামী ২৬ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে বাফুফের নির্বাচন। বরাবরই এই নির্বাচনে ডিএফএ’র ভোটাররা বেশ বড় প্রভাব রাখেন। এখনও জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ভোটার তালিকা হয়নি। ভোটার তালিকায় যেন যোগ্য লোক স্থান পায় সেই লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা করছেন ডিএফএ সদস্যরা। এককথায় আজকের সভার মূল উদ্দেশ্য ছিল ফুটবল তথা পুরো ক্রীড়াঙ্গন দলীয়করণ মুক্ত করা।
উক্ত সভায় সাবেক ফুটবলার ও বিএনপি নেতা আমিনুল হক বলেন,
‘ডিএফএ’র বিভিন্ন স্থানে এখনো আওয়ামি প্রেতাত্মা বসে আছে। তাদের সুযোগ দেওয়া যাবে না। তাদের অপসারন করে এমন লোকদের সুযোগ দিতে হবে যারা কোনো দলের না। যারা মাঠের ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত। যারা ফুটবলের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন তারাই যেন সুযোগ পায়। তাতে করেই ফুটবলের উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। এছাড়া ফুটবলের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের গঠনতন্ত্রে বাফুফে সভাপতি দুজন সাধারণ পরিষদে সদস্য মনোনয়নের এখতিয়ার আছে। ডিএফএ’র গঠনতন্ত্রে রয়েছে সরকারের কোনো পদে আছেন এমন কেউ জেলা পর্যায়ে নির্বাচন করতে পারবে না। অথচ বাফুফের নির্বাহী কমিটিতে আবার ঠিকই সরকারি পদে থাকা ব্যক্তিরা নির্বাচন করছেন। এবার ডিএফএ থেকে অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকেই প্রাধান্য দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন আমিনুল হক।
‘আমরা বাফুফের কাছে নির্বাচন পেছানোর কথা বলেছিলাম। তারা নির্বাচন পেছানোর জন্য ফিফাকে চিঠি দিয়েছিল। যদি পেছায় তবে ভালো। আর যদি নির্বাচন না পেছায় তাতেও সমস্যা নেই, আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’