ফুটবল অঙ্গনে আবারো ফিরে এলেন আমিরুল ইসলাম বাবু। তিনি বাংলাদেশের পেশাদার ফুটবলের ঐতিহ্যবাহী দল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনেও উপস্থিতি ছিলো। গত বাফুফে নির্বাচনে সালাউদ্দিন-সালাম প্যানেল থেকে সহ-সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেন বাবু। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত নির্বাচনে পরাজিত হন। পরাজিত হওয়ায় গত কয়েকমাস ধরে তিনি ফুটবল থেকে দূরেই ছিলেন।
ফুটবল থেকে বিছিন্ন থাকার প্রায় দশ মাস পর আবারো সেই ফুটবলের কাছে ফিরে এলেন বাবু। আগামী সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে রয়েছে বাংলাদেশ নারী দলের এশিয়া কাপের বাছাইপর্ব। উজবেকিস্তানে অনুষ্ঠিত এই বাছাইপর্বকে সামনে রেখে বাংলাদেশ নারী দলের ম্যানেজার হিসেবে আমিরুল ইসলাম বাবুকেই নির্বাচিত করেছে বাংলাদেশ মহিলা ফুটবল উইং।
এই বিষয়ে বাফুফের মহিলা উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘এশিয়া কাপ বাছাই একটি গুরুত্বপূর্ণ টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টে ম্যানেজার হিসেবে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বাবু ভাইকে (আমিরুল ইসলাম বাবু) আমরা মনোনীত করেছি ।’
আমিরুল ইসলাম বাবু ২০০৮ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বাফুফের নির্বাহী সদস্য হিসেবে ছিলেন। গত নির্বাচনে চারটি সহ-সভাপতি পদের মধ্যে একটির জন্যে লড়াই করেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনে তিনি হেরে যান। সালাউদ্দিন-সালাম প্যানেলের মধ্যে চার সহ-সভাপতি পদের জন্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনিই একমাত্র পরাজিত হন।
সালাউদ্দিন-সালাম প্যানেল থেকে পরাজিত হয়েও বাফুফের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছেন অনেকে। জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় ইকবাল হোসেন সদস্য পদে জয়ী হয়েও বাংলাদেশ জাতীয় পুরুষ দলের ম্যানেজারের দায়িত্বে আছেন৷ অন্যদিকে তরুণ সংগঠক সৈয়দ রিয়াজুর করিম নির্বাচনে জয়ী হয়ে এখন একাধিক কমিটিতে আছেন। নির্বাচনে হেরে গিয়েও জাতীয় নারী দলের ম্যানেজার হতে যাচ্ছেন আমিরুল ইসলাম বাবু।
কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র যেনো সালাউদ্দিন-সালাম প্যানেলের প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীদের ক্ষেত্রে। নির্বাচনে হেরে গিয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ সংগঠক ফজলুর রহমান বাবুল, হাসানুজ্জামান খান বাবলু, ইমতিয়াজ সুলতান জনি কেউই পাননি বাফুফের কৃপা দৃষ্টি। এছাড়াও তাবিথ আউয়াল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে স্ট্যান্ডিং কমিটিতে নেই। কিন্তু তিনি গত আট বছর ধরে বাফুফের সাংগঠনিক কাজে বিনাশর্তে আর্থিক সাহায্য করেছেন,যা পরবর্তীতে ফেরতও চান নি।