পুরো ম্যাচে রেফারি বিটু রাজ বড়ুয়া তিনবার পেনাল্টির৷ বাঁশি বাজিয়েছেন। এমন ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির বিরুদ্ধে ৩-১ ব্যবধানে সহজ জয়ই তুলপ নিয়েছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড।

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১৫ মিনিটে লিড নেয় রহমতগঞ্জ। একটি থ্রু পাস থেকে রিদয় ও ফয়সালের সাথে বক্সের ভিতর ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়েও বল নিয়ন্ত্রণে রেখে উঠে দাড়ান রহমতগঞ্জের ফরোয়ার্ড আদজা। এরপর তার কাট ব্যাকে বল গোলে মারেন এনামুল। এতে বল আবাহনীর ডিফেন্ডার বাদশার পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে গেলে এগিয়ে যায় রহমতগঞ্জ।

কিন্তু এর পরের মিনিটেই রহমতগঞ্জের ডিফেন্ডার তারেকের ট্যাকলে বক্সে পড়ে যান ড্যানিয়েল কলিন্ড্রেস। সাথে সাথে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে আবাহনীর হয়ে নিজের প্রথম গোল করেন আকাশী নীল জার্সিতে অভিষেক হওয়া ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড ডরিয়েলটন। সমতায় ফিরে কয়েকদফা চেষ্টা চালিয়েও রহমতগঞ্জের পাঁচ জনের ডিফেন্স ভাঙ্গতে পারেনি আবাহনীর তারকা সমৃদ্ধ দল।

ম্যাচের শুরুতেই কিছুটা ইনজুরিতে পড়েছিলেন এই মৌসুমে আবাহনী থেকে রহমতগঞ্জে যোগ দেয়া ডিফেন্ডার ওয়ালি ফয়সাল। সেই ইনজুরি তাকে খেলার ৩০ মিনিটে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করে। খেলার ৪১ মিনিটে ফিলিপ আদজার রেইনবো ফ্লিক বক্সের ভিতরে থাকা আবাহনীর ডিফেন্ডার বাদশাহর হাতে লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। কিন্তু রহমতগঞ্জের এগিয়ে যাওয়া সুযোগ বৃথা হয়ে যায় যখন আদজার নেয়া পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে দেন আবাহনীর গোলরক্ষক প্রিতম। সেখান থেকেই প্রতি আক্রমনে গিয়ে আবাহনীও একটি গোলের সুযোগ তৈরি করে, কিন্তু ডরিয়েলটনের নেয়া শট ঠেকিয়ে দেন রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক জিয়া। এরপর আর কোন গোল না হলে ১-১ সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।

বিরতির পর ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে আবাহনী। ম্যাচের ৫০ মিনিটে দুই জনকে নাটমেগ করে বক্সে ডুকে গুড়ানো কাট ব্যাক করে রাফায়েল আগুস্তো। সেখান থেকে পায়ের টোকায় সহজেই তা জালে জড়িয়ে প্রথমবারের মতো ম্যাচে আবাহনীকে লিড এনে দেন ডরিয়েলটন। এরপর ম্যাচের ৭০ মিনিটে বক্সের ভিতর রাফায়েলকে রহমতগঞ্জের সানোয়ার ফেলে দিলে ম্যাচের তৃতীয় পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট কিক থেকে গোল করতে ভুল করেননি আবাহনীর অধিনায়ক রাফায়েল। এতে লিড বাড়িয়ে নেয় আকাশী নীলরা।

ম্যাচের প্রথমার্ধের পর মাঠে আর রহমতগঞ্জকে তেমনভাবে খুঁজেই পাওয়া যায়নি। ফলে নিজেদের পায়ে বল রেখে বার বার আক্রমণ চালায় আকাশী নীল বাহিনীরা। তবে অনেকগুলো দূরপাল্লার শট নিলেও সেগুলো লক্ষ্যে রাখতে ব্যর্থ হন কলিন্ড্রেস, রাফায়েল, ডরিয়েলটন ও ইমন বাবুরা। এতে ৩-১ ব্যবধানেই ম্যাচ শেষ হয়।

এই জয়ে গ্রুপ ‘এ’ থেকে দুই জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলো আবাহনী। তাদের সাথে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে স্বাধীনতা কাপের নক আউটে উর্ত্তীর্ণ হয়েছে নবাগত স্বাধীনতা সংঘ।

Previous articleসাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ খেলতে বাংলাদেশের পথে দলগুলো!
Next articleস্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়দের সংবর্ধনা দিবে বাফুফে!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here