বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের জনসমর্থন অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। স্বাধীন দেশের স্বপ্ন দেখা বাঙ্গালীরা বিভিন্নভাবে সেই জনসমর্থন তৈরির চেষ্টা করেছে। তার মধ্যে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল অন্যতম। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে জনসমর্থন এবং অর্থ সাহায্যের জন্য এই দলটি তৈরি করা হয়েছিলো। দেশ স্বাধীনের এতো বছর পরে এসে স্বাধীনতা পদকের জন্য আবেদন করেছে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।

মুক্তিযুদ্ধ শেষে স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সবাইকে মুক্তিযোদ্ধার খেতাব দেওয়া হয়। তবে সেই স্বীকৃতিতে আসতে চলেছে পরিবর্তন। প্রস্তাবিত নতুন সংজ্ঞা অনুযায়ী, মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণকারীরাই হবেন বীর মুক্তিযোদ্ধা। প্রস্তাবিত খসড়ার সংজ্ঞায় মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী এবং বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্নভাবে ভূমিকা রাখা অন্যদের ‘যুদ্ধ-সহায়ক’ নাম দিয়ে শ্রেণিভুক্ত করার চিন্তা করা হচ্ছে। আর সে শ্রেণীতেই অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা।

মুক্তিযোদ্ধা কিংবা যুদ্ধ-সহায়ক এই দ্বিধায় না জড়িয়ে যদি অন্যভাবে চিন্তা করা হয় তবে নিজেদের অবদানস্বরূপ সম্মানটা মেলেনি স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের। তাই নিজেদের প্রাপ্য সম্মান বুঝে পেতে স্বাধীনতা পদকের জন্য আবেদন করেছে দলের কর্তৃপক্ষ। আজ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে লাল-সবুজ দলের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এই ম্যাচ দেখতে এসে এই বিষয়টি খোলাসা করেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আওয়াল,

“স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল বাংলাদেশের স্বাধীনতার অংশ। তাদের দল হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির জন্য বাফুফে আবেদন করেছে।”

স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করেছেন তাবিথ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে এই পত্র তৈরি করা হয়েছিলো। স্বাধীনতার এতো বছর পার হলেও যাতে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল। এইজন্য আবেদন পত্র দাখিল করে তারা। এর আগে ব্যক্তিগতভাবে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড় কাজী সালাউদ্দিন ও জাকারিয়া পিন্টু স্বাধীনতা পদক পেয়েছিলো।

Previous articleস্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যরা মুক্তিযোদ্ধা নয় বলে প্রস্তাব!
Next articleআগামী বছর সাফের বয়সভিত্তিক চার আসর!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here