টানা চতুর্থবারের মত বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন। নির্বাচিত হওয়ার পরের দিনই সতর্ক করলেন দেশের সকল জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনকে। জেলা লীগ করতে ব্যর্থ হলে বাতিল করা হবে তাদের ভোটাধিকার।

দেশের ৬৪ টি জেলায় ডিএফএ থাকলেও জেলা লিগগুলো নিয়মিত করতে ব্যর্থ হয় ডিএফএ এর কর্মকর্তাগণ। ভোটের লড়াইয়ে কিংবা ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের সমালোচনায় তারা থাকেন সরব। ডিএফএ-এর কর্মকর্তাদের সতর্ক করে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘জেলার ফুটবল পর পর ২ বছর আয়োজনে ব্যর্থ হবে ডিএফএ, তাদের কাউন্সিলরশিপ শুন্য করা হবে।’

বাফুফের সভাপতি পদে চতুর্থ মেয়াদে নির্বাচিত হবার পর রবিবার এই ঘোষনা দিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এবার একটা ফর্মুলা করবো, যা ফিফা এএফসি করেছে। কোন জেলায় পরপর দুই বছর লিগ না হলে কাউন্সিলরশিপ হারাবে। ফিফা এ রকম হলে তো নিষিদ্ধ করে দেয়। এই নিয়মগুলো যদি আমি প্রথম থেকেই শুরু করতাম, তখন আপনারাই আমাকে মারতেন। এখন তো একটা ফরমেটে এসেছে, এখন আমার কিছু কথা জেলাগুলোকে শুনতেই হবে।’

এদিকে বাফুফে নির্বাচনের আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠে। তবে ভোটের মাধ্যমে তিনি সমালোচকদের জবাব দিতে পেরেছেন বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘সমালোচনা আপনি করতেই পারেন, বুঝে করেন আর না বুঝে। কর্মকাণ্ড হয় ফুটবলের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ১৩৯টি সংস্থা ক্লাব, জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় সব মিলিয়ে। নির্বাচন হয় ১৩৯ জন ডেলিগেটের ভোটে। কোনও কোটিপতি, কোনও গরীব কিংবা রাস্তার কোনও লোকের ভোটে নয়, ১৩৯ জন যারা ফুটবলের সঙ্গে জড়িত, তাদের ভোটে নির্বাচিত হয়। ২০০৮ সালে নির্বাচনে যে ভোট পেয়েছিলাম, ২০১৬ তে তার চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছি। এবার আরও বেশি পেয়েছি। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আমাকে বকাবকি করছে, এটা হয়তো তাদের অভ্যাস।’

Previous articleবাফুফে নির্বাচনে জয়ি হলেন যারা
Next articleনির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মানিক!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here