“বিধি তুমি বলে দাও আমি কার,দুটি মানুষ একি মনের দাবিদার”। ঢালিউডের ‘ফুল নেবো না অশ্রু নেবো’ সিনেমার শাবনূরের মতো পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। গতবারের শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডো দেখা গিয়েছে তিনি একবার শেখ রাসেলের সাথে চুক্তিতে আছেন তো আরেকবার দেখা যেতো আর্জেন্টাইন ক্লাব সোল দে মায়োতে যোগ দিয়েছেন। এই যুগৎপত ঘটনা বেশ কয়েকদিন ধরেই স্থায়ী ছিলো।

এবারেও গ্রীষ্মকালীন ট্রান্সফার উইন্ডো খুলতে না খুলতে আবারো একই কান্ড সামলে চলে এলো। আবারো শুরু হলো জল ঘোলা করার খেলা। এই খেলার নায়ক জামাল নিজেই। গত মৌসুমে জামালের সাবেক ক্লাব সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব নিজেদের সিনিয়র টিমের কার্যক্রম গুটিয়ে নিলে সাইফ ছেড়ে একবছরে জন্য শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলো জামাল।

এবারেও একটি সূত্র মতে জানা যায় নতুন মৌসুম শুরু আগেই গতবারের মতো আবারো একবছর জন্যে শেখ রাসেলের সাথে আবারো চুক্তি স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। যা জামাল এবং শেখ রাসেল ক্লাব দুইপক্ষই নিশ্চিত করেছিলো। এতোক্ষণ পর্যন্ত সবই ঠিকঠাকই ছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে গতকাল স্বাভাবিক ঘটনা প্রবাহ ১৮০ ডিগ্রী ঘুরে যায়। গতকাল আর্জেন্টাইন ক্লাব সোল দে মায়োর সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করে জামাল ভূঁইয়া। জামাল ভূঁইয়াকে স্বাগতম জানিয়ে নিজেদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে প্রচার প্রচারণা চালায়। কিন্তু কিছু সময় যেতে না যেতে হঠাৎ করে সোল দে মায়োর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের টাইমলাইন থেকে পোস্টটি উধাও হয়ে যায়।

অন্যদিকে গতকাল নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জামাল নিজেই জানান তিনি কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন নি, বরং তিনি পরিবারের সাথে ছুটি কাটাচ্ছেন। সোল দে মায়োর সাথে চুক্তি সম্পর্কিত বিষয়টি সরাসরি অস্বীকার করলেও এখানেও ছিলো একটি বড় অসঙ্গতি। জামাল যে টুইট করেছিলো, সে টুইটের লোকেশন ছিলো আর্জেন্টিনা।

এছাড়া গতকাল আরো একটি ভিডিও ভাইরাল হয় হয়। যেখানে তিনি সাংবাদিকদের ইংরেজীতে প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন এবং তার পাশে দাঁড়িয়ে আরেকজন ইন্টারপ্রেটারের দায়িত্ব পালন করছে।

কেনো এতো বড় একটি অসঙ্গতি। এটি কি নিছকই কোনো ভুল বা গুজব নাকি জামালের নিজেরই অপেশাদারিত্বের ফলাফল। যদি জামাল চুক্তিতে স্বাক্ষরই না করে থাকে তাহলে সোল দে মায়ো তাদের অফিশিয়াল টুইটার একাউন্টে পোস্টই বা কেনো করবে,আবার ডিলিটই কেনো করবে। একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন তো এখানে থেকেই যায়।

এছাড়া জামালের আত্মপক্ষ সমর্থন করে যে টুইট করেছিলো সেটির লোকেশনও ছিলো আর্জেন্টিনার রাজধানী শহর বুয়েন্স আয়ার্সে। অন্যদিক ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও কি মিথ্যা ছিলো। ওই ভিডিও কি জামাল গুজব বলে উড়িয়ে দিতে পারবেন না?যদি সেটা গুজব না হয়, যদি সেটা সত্য হয় তবে কেনো বারবার অপেশাদারিত্বের পরিচয় দিচ্ছেন। একজন জাতীয় দলের অধিনায়ক থেকে এরকম অপেশাদারিত্ব কি আসলের কাম্য?এই কয়েকটি প্রশ্নের জন্য তো জামালকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোই যায়। কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে জামাল কি সত্যিকার অর্থে কোনো সদুত্তর দিতে পারবে?

Previous articleঅভিযোগকে নির্ভীকতার সাথে প্রতিহত করলেন কিরণ!
Next articleশেখ রাসেলে নতুন চার বিদেশী!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here