বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু নাইম সোহাগের পর আবারো বাফুফে মহলে দুর্নীতির ছায়ার আঁচ পাওয়া গেলো। এবার সেই দায়ে অপরাধীর কাঠগড়ায় দাঁড়ালেন এএফসির কাউন্সিল মেম্বার এবং বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের কাছে গিয়ে হাজিরা দেন মাহফুজা আক্তার কিরণ।

মাহফুজা আক্তার কিরণের বিরুদ্ধে দুর্নীতির এই অভিযোগ দায়ের করেছে বেগম আনোয়ারা স্পোর্টিং ক্লাব। ক্লাবটির সাধারণ সম্পাদক এ.আর. মনিরুজ্জামানের ভাষ্যমতে মাহফুজা আক্তার কিরণ তাদের কাছে ২ লক্ষ টাকা ঘুষ চায়। কিন্তু তারা ঘুষ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের ক্লাবকে যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নারী ফুটবল লীগে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হই নি। বিপরীতে অযোগ্যতাসম্পন্ন ক্লাবকে টাকা বিনিময়ে নারী ফুটবল লীগে খেলার সুযোগ করে দিয়েছে।

এছাড়া তারা আরো অভিযোগ করেছে যে করোনার সময়কালে নারী ফুটবলারদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়ার কথা থাকলেও মাহফুজা আক্তার কিরণ দিয়েছে মাত্র পাঁচশ টাকা। তবে এই দায় নির্ভয়ে মোকাবেলা করেছে মাহফুজা আক্তার কিরণ। তিনি বলেন, ‘ক্লাবটি আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো করেছিলো তার প্রেক্ষিতে দুদক আমাকে ডেকেছিলো। যেহেতু দুদক আমায় ডেকেছে,সেহেতু আমি সেখানে গিয়েছিলাম। তাদেরকে তথ্য-উপাত্ত দিয়ে সাহায্য করেছি। আমি আমার দিক থেকে যত কাগজপত্র আছে সবকিছু তাদেরকে দিয়ে এসেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘ইনকাম ট্যাক্সে আমার যত স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি আছে যা আমার ইনকাম ট্যাক্স ফাইলে উল্লেখ করা আছে। এই ইনকাম ট্যাক্স ফাইনাল ২০২১ সাল থেকে দুদককেই আছে।’

পরবর্তীতে অন্য আরো কোনো ডকুমেন্টস লাগলে সেটিও দুদককে প্রদান করবেন বলে জানান নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান। ফুটবল ফেডারেশনের অর্থনৈতিক কোনোকিছুর সাথে নিজের সম্পর্ক নেই বলেও জানান কিরণ। তিনি বলেন, ‘এরপর আরো যদি কোনো ডকুমেন্টস লাগে তাহলে সেগুলো দুদককে দেওয়া হবে। এছাড়া বাফুফের ফিন্যান্সিয়াল কমিটির সাথে আমার সম্পৃক্ততা নেই। এসবের জন্য বাফুফের পার্চেস কমিটি আছে। আমি পার্চেস কমিটির মেম্বারও না। এই কমিটিই বাফুফের ফিন্যান্সিয়াল দিক সামলায়।’

Previous articleবিকেএসপিতে ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ অ-২৩ দল!
Next articleজামালের গন্তব্য কোথায়?

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here