জাতীয় দল থেকে ইতালি প্রবাসী ফুটবলার ফাহমিদুল ইসলাম বাদ পড়ার পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে তুমুল আলোচনা চলছে। অনেক সমর্থকই অভিযোগ তুলছেন, দল গঠনের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি ও নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর প্রভাব কাজ করছে। বিশেষ করে কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে দেশের বাইরে খেলতে থাকা একজন ফুটবলারকে দলে না রেখে অন্যদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে আজ (বুধবার) যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি তাবিথ আউয়ালের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের আগে তৈরি হওয়া সংকট নিয়ে তারা আলোচনা করেন।
বৈঠকে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, “ফুটবল ফেডারেশনে সিন্ডিকেট করার কোন সুযোগ নেই। যোগ্যতা অনুযায়ী সবাই যার যার জায়গা করে নেবে, এমন কোনো কিছুর আভাস মিললে ব্যবস্থা নেবে ফেডারেশন।”
তিনি ফাহমিদুল ইসলাম ইস্যুতে বলেন, “এটি কোনো সংকট নয়, ফাহমিদুলকে আমরা বাদ দিয়ে দিইনি। ও প্রতিভাবান, তবে ওকে আমরা আরো সময় দিতে চেয়েছি। আগামী জুনেই ঘরের মাঠে বাংলাদেশের ম্যাচ রয়েছে, খুব শীঘ্রই হয়তো তাকে আমরা মাঠে দেখতে পারি। সমর্থকদের এতটুকু বলবো, হতাশ হওয়ার কিছু নেই।”
তবে সমর্থকদের অভিযোগের ভিত্তিতে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দল নির্বাচনের স্বচ্ছতার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, “দেশের স্বার্থেই যোগ্য খেলোয়াড়দের বঞ্চিত করার কোনো সুযোগ নেই। প্লেয়ার সিলেকশনে যেন স্বজনপ্রীতি বা সিন্ডিকেটের শিকার কেউ না হন সে বিষয়ে বাফুফেকে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। এ বিষয়ে দুর্নীতির প্রমাণ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।”
এদিকে, সমর্থকদের দাবির প্রেক্ষিতে আজ দুপুরে পাঁচজন ভক্ত টিম হোটেলে গিয়ে বাফুফে সভাপতির সঙ্গে দেখা করেন। সেখানে তারা কোচ ও দল নির্বাচনের বিষয়ে নানা অভিযোগ উত্থাপন করেন। তাবিথ আউয়াল সেই অভিযোগগুলো গুরুত্ব দিয়ে শুনেছেন বলে জানা গেছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দলের ব্রিটিশ-বাংলাদেশি মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরী। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে তার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে আশাবাদী ক্রীড়া উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “হামজার মতো খেলোয়াড়ের উপস্থিতি প্রতিপক্ষের জন্য চাপের কারণ হবে।”