বাংলাদেশ ফুটবল নতুন যুগে প্রবেশ করেছে, প্রথমবারের মতো হয়েছে ফুটবলারদের নিলাম। এলিট একাডেমির ১০ ফুটবলারকে শনিবার নিলামে তোলা হয়েছিল। অংশ নেয় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ১১ ক্লাব।
খেলোয়াড়দের নিলামের প্রক্রিয়া ভালোই চলছিল। পরবর্তীতে ষষ্ঠ খেলোয়াড় আজিজুল হক অনন্তর বিডিংয়ের সময় জটিলতা তৈরি হয়। তার ভিত্তিমূল্য ছিল ৫ লাখ টাকা। নিলামকারী অনন্তকে ব্রাদার্সের বলে ঘোষণা দেন। নিলামে ব্রাদার্সকে ভিত্তিমূল্যে পাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর প্রতিবাদ করে মোহামেডান। তাদের টেবিলে থাকা সাবেক ফুটবলার কায়সার হামিদ বলেন তারাও বোর্ড তুলেছিলেন। ভিডিও দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ব্রাদার্সের পক্ষে। বিষয়টি মানতে না পেরে তখন নিলাম ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন মোহামেডানের কর্মকর্তারা।
উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে বাফুফে কর্মকর্তারা উভয় পক্ষকে শান্ত করেন। আজিজুল হক অনন্তর বিডিং স্থগিত করে পুনরায় করার সিদ্ধান্ত হয়। অনন্তর বিডিং সবার শেষে আবারও অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মোহামেডান ও ব্রাদার্সের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লাড়াই হয়। শেষ পর্যন্ত ১০ লাখ টাকায় তাকে কিনে নেয় ব্রাদার্স।
১০ ফুটবলারের সবাই নিলামে দল পেয়েছে। সবচেয়ে বেশি ৬ ফুটবলার নিয়েছে প্রিমিয়ার লিগে ফিরে আসা ব্রাদার্স ইউনিয়ন। একজন করে খেলোয়াড় নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস, আবাহনী, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও ফর্টিস এফসি। নিলামে সর্বোচ্চ ১৩ লাখ ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছেন ৫ লাখ টাকা ভিত্তিমূল্যের একাডেমির গোলকিপার মোহাম্মদ আসিফ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছেন ১৭ বছরের মিডফিল্ডার চন্দন রায়। বয়সভিত্তিক জাতীয় দলে ৬টি ম্যাচ খেলা এই নবীনকে পেতে ফর্টিস ও ব্রাদার্সের সঙ্গে বিডিং করে জিতেছে শেখ রাসেল। মিডফিল্ডার আসাদুল মোল্লাকে ৭ লাখ ২৫ হাজার টাকায় নিয়েছে ঢাকা আবাহনী।
সেন্টার ফরোয়ার্ড সুমন সরেনকে ভিত্তিমূল্য ৪ লাখ, ডিফেন্ডার সিরাজুল ইসলাম ভিত্তিমূল্য ৪ লাখ, ফরোয়ার্ড মিরাজুল ইসলামকে ৬ লাখ ৫০ হাজার টাকায় দলে ভিড়িয়েছে ব্রাদার্স। রুবেল শেখ, ইমরান খানকেও দেখা যাবে কমলা জার্সিতে।