বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলকে এবার এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হবে। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (AFC) সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত ড্র অনুযায়ী, বাংলাদেশ পড়েছে ‘সি’ গ্রুপে, যেখানে স্বাগতিক মিয়ানমার, বাহরাইন, এবং তুর্কমেনিস্তান রয়েছে। বাছাই পর্বের ম্যাচগুলো ২৩ জুন থেকে ৫ জুলাই পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এই প্রতিযোগিতায় মোট ৩৪টি দল অংশ নিচ্ছে, যা বিভক্ত হয়েছে আটটি গ্রুপে। ছয়টি গ্রুপে চারটি করে এবং দুটি গ্রুপে পাঁচটি করে দল রয়েছে। প্রতিটি গ্রুপের শীর্ষ দল আগামী বছরের ১-২৬ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য মূল পর্বে জায়গা করে নেবে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চীন, পাশাপাশি শীর্ষ দুই দল দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান সরাসরি মূল পর্বে খেলবে।
বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী মিয়ানমার, যারা নিজেদের মাঠে খেলার সুবিধা পাবে। তবে, এর আগে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে বাংলাদেশ ২০১৭ ও ২০১৯ সালে পরপর দুবার এশিয়ার মূল পর্বে খেললেও সিনিয়র দল কখনোই এই পর্যায়ে পৌঁছাতে পারেনি।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে অলিম্পিক বাছাই ম্যাচ খেলতে বাংলাদেশের সাফ চ্যাম্পিয়ন দলকে মিয়ানমারে পাঠানো হয়নি। আর্থিক সংকটের কারণ দেখিয়ে বাফুফে (বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন) দল পাঠানো থেকে বিরত থাকে, যা কঠোর সমালোচনার মুখে পড়ে। এবার সেই মিয়ানমারেই এশিয়ান কাপ বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা দলের জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশ নারী দলের প্রস্তুতি শুরু হবে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে। বাফুফে ৫৫ জন ফুটবলারকে ক্যাম্পে ডেকেছে, যা ঈদের পরপরই শুরু হবে। তবে, সাবিনাদের কোচ পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলন করানো হবে কি না—এ নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। একইসঙ্গে বাটলারও পুরো দলকে অনুশীলন করাবেন কি না, সে বিষয়েও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
বাংলাদেশ দলের সামনে এবার বড় সুযোগ নিজেদের যোগ্যতা প্রমাণের। তবে, মূল পর্বে জায়গা করে নিতে হলে মিয়ানমারকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হবে, যা সহজ হবে না।