ভাগ্যে যদি জয় না থাকে তাহলে কোনোভাবেই জয় পাওয়া সম্ভব নয়। এমনটাই ঘটেছে সাফ অ-১৯ চ্যাম্পিয়নশীপে। আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ, এই ম্যাচে ভালোভাবে শুরুটা করে; ম্যাচের লিডেও ছিলো বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপের কামব্যাকে আটকে যায় বাংলাদেশের ভাগ্য এবং নিশ্চিত তিন পয়েন্টের বিপরীতে ২-২ গোলের ড্র’য়ে মাত্র এক পয়েন্ট নিয়ে খুশি থাকতে হয় বাংলাদেশকে।
১৩তম মিনিটে মালদ্বীপের রক্ষণের ভুল থেকে ম্যাচে লিড পায় বাংলাদেশ। মালদ্বীপের লাহিম ইমতিয়াজের পাস থেকে তার সতীর্থ আজহাম রাশেদ বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে বল পেয়ে যান বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হুদা ফয়সাল। এরপর খানিকটা এগিয়ে গিয়ে নিজেই শট করেন এবং গোল আদায় করে নেন, মালদ্বীপের গোলরক্ষক হাসান জিয়াদ ডানদিকের পড়ে বল আটকানোর কিছুটা চেষ্টা করলেও তাতে সফল হন নি।
২৮ মিনিটে মাঠের ডানদিক থেকে বল নিয়ে বক্সের ভিতর ঢুকে পড়েন বাংলাদেশের মুর্শেদ আলী, পরবর্তী মালদ্বীপের ডিফেন্ডারদের পরাস্ত করে কাটব্যাক করেন উদ্দেশ্য ছিলো ফয়সাল। তবে হওয়ায় ভাসা বলকে শট করলেও বল গোলবারের পাশ কাটিয়ে গোললাইন অতিক্রম করে।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ফয়সালের কর্ণার কিক থেকে গোল এরিয়াতে বলকে প্লেস করেন মিথু চৌধুরী, সেখান থেকে বলকে নির্ভুলতার সাথে জালে পাঠিয়ে দেন রিফাত কাজী। এতে ২-০ তে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ অ-১৯ ফুটবল দল। পরবর্তীতে এই দুই গোলের পুঁজি নিয়ে বিরতিতে যায় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমে এক গোল শোধ করে মালদ্বীপ। মোহাম্মদ সামহানের থ্রু পাস থেকে লেফট কর্ণার থেকে বলকে বক্সের ভেতরে পাঠান ইব্রাহিম নাসির। সেখান থাকা মালদ্বীপের খেলোয়াড় মোহাম্মদ জায়েজ বলের টাচ না পেলেও তার পেছনে থাকা আনফ আব্দুল্লাহ ঠিক গোল করে বসেন, ফলে ম্যাচের ফলাফল দাঁড়ায় ২-১ এ।
৭১ মিনিটের মাথায় কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন হঠাৎ করেই এক হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন। ম্যাচের ৫০ মিনিটে আব্দুল কাদিরকে বদলি হিসেবে মাঠে নামান ছোটন। তবে ২০ মিনিট পার হতে না হতে ৭১ মিনিটে তাকে মাঠ থেকে উঠিয়ে নেন। এইদিকে প্রথম গোল শোধ দেওয়ার পর সমতায় ফিরতেও খুব বেশী একটা সময় নেয় নি মালদ্বীপ। ম্যাচের ৭৩ মিনিটের মাথায় অধিনায়ক আজহাম রাশেদের থ্রু পাস থেকে ইথান ইব্রাহিম জাকি বলের নিয়ন্ত্রণ নেন, এরপর গোলটাও আদায় করে নেন জাকি। এতে ২-২ তে ম্যাচে সমতা ফিরে আসে।
এরপর ম্যাচে আর কোনো গোল হয় নি। শেষের দিকে কর্ণার থেকে বাংলাদেশের জন্য গোলের আধো আধো সুযোগ এসেছিলো তবে তাকে গোলে পরিণত করতে পারে নি বাংলাদেশের যুবারা। এতে ২-২ গোলের ড্র দিয়ে মাঠ ছাড়ে দুই দল।