সদ্য শেষ হওয়া বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে প্রশ্ন তুলেছেন সভাপতি পদে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা সাবেক ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক।
গত ৩রা অক্টোবর অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে সভাপতি পদে দাড়ানো তিন প্রার্থী কাজী সালাউদ্দিন ৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন, যেখানে অন্য দুই জন প্রার্থী বাদল রায় ৪০ এবং শফিকুল ইসলাম মানিক পেয়েছিলেন ১ ভোট। ভোটের দিনই মানিক অভিযোগ করেছিলেন তাকে ভোট গননার সময় নিয়ম থাকার সত্ত্বেও তাকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। আজ বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে তুলে ধরেন তিনি। বাফুফে নির্বাচনী বিধানের ১০ নাম্বার পয়েন্টে ভোট গননার সময়ে প্রার্থীকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও কেন বা কার ইশারায় তাকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি সেই প্রশ্ন মানিকের।
এ বিষয় নিয়ে আইনি ব্যবস্থায় যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন মানিক। তিনি বলেন, “আমার এক বন্ধু আছে সিনিয়র আইনজীবী। তার সাথে আমি কথা বলবো ব্যাপারটা নিয়ে। আমিতো শুধু এখানে যেতে পারিনি, রেজাল্ট পাইনি সেটা না। আমি অপমানিত বোধ করেছি একজন প্রার্থী হিসেবে, একজন প্রেসিডেন্ট ক্যান্ডিডেট হিসেবে এবং স্বচ্ছতার প্রশ্ন আসছে এখানে। সবকিছু মিলিয়ে আমি চিন্তা করছি। ভবিষ্যতে নিশ্চয়তার জন্য আমি কাজটুকু করে রাখতে চাই।”
এদিকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলতে গিয়ে মানিক জানান, “এখানে একটি জিনিস পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। নীতি নৈতিকতা বলতে কিছু নেই। নৈতিকতার অধপতন ঘটেছে। অর্থই এখানে সব।” পাশাপাশি মানিক আরো মনে করেন ফুটবল এখানে ব্যর্থ হয়েছে।