বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনে সভাপতি পদপ্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ভোট গণনার সময় তাকে ভেতরে ঢুকতে দেয়া হয়নি বলে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকি আদালতে যাওয়ার বিষয়েও জানান। তবে তার এই অভিযোগের জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন নির্বাচন কমিশন ২০২০।

গত ৩ই অক্টোবর বাফুফের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ৯৪ ভোট পেয়ে চতুর্থ মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী সালাউদ্দিন। অন্যদিকে ৪০ ভোট পান বাদল রায় ও এক ভোট শফিকুল ইসলাম মানিক। নির্বাচনের দিনই মানিক অভিযোগ করেছিলেন ভোট গণনার সময় তাকে ভিতরে ঢুকতে দেয়া হয় নি, যা নির্বাচনের বিধি অনুযায়ী ঠিক নয়। পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করে মানিক জানান, ‘এজিএম যখন শেষ হয়ে যায় তখন সবকিছু হ্যান্ডওভার হয়ে যায় নির্বাচন কমিশনের হাতে। তখন সকলেই প্রার্থী এবং আমিও একজন প্রার্থী। কিন্তু লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এক হলো না। আমি যখন রুমের বাহিরে থাকবো আর আরেকজন প্রার্থী রুমের ভেতরে থাকবে তাহলে এই জিনিসটা এক সমান হলো না। নির্বাচনে বিধিমালায় ১০ নম্বরে স্পষ্ট করে দেয়া আছে প্রত্যক্ষভাবে প্রার্থী তার ভোট গননা দেখতে পারবে। তাহলে কার ইশারায় আমাকে ওখানে রাখা হলো না। কেনই বা রাখা হলো না।’ এ বিষয়ে তিনি আইনি প্রক্রিয়ায় যাবেন বলে জানান।

মানিকের সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন নিয়ে এসকল অভিযোগের তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানায় নির্বাচন কমিশন। একজন সভাপতি পদপ্রার্থীর ভােট গণনার সময় ঢুকতে না দেয়ার সূত্রে ‘লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড’ না থাকার অভিযােগ উত্থাপন করার বিষয়ে বাফুফে নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। এ বিষয়ে কমিশনের বক্তব্য হলো ফিফা নিয়ম অনুসারে ভােট পর্বের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ডেলিগেট, নির্বাহী কমিটির সদস্য, ও নির্বাচনী কর্মকর্তা না হলে কেউ ভােট পর্বে উপস্থিত থাকতে পারেন না। তথাপি বাফুফের নির্বাচনী বিধিমালায় ভােট গণনার সময় নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে প্রার্থীদের উপস্থিত থাকার সুযােগ রাখা হয়েছে। তবে সে রকম অনুমতি চেয়ে গত অক্টবর ৩ তারিখে ভােট গণনার সময় কোন প্রার্থীর নিকট থেকে কমিশনের নিকট লিখিত বা মৌখিক বা ক্ষুদে বার্তা আকারে কোন প্রকার আবেদন বা অনুরােধ করা হয়নি। কেউ কোন বাধার সম্মুখীন হলে অনায়াসে নির্বাচন কমিশনের যে কোন কমিশনারের সাথে মােবাইল ফোনে বা লিখিত বার্তা দিয়ে যােগাযােগ করতে পারতেন। সেরকম যােগাযােগও কমিশনের সাথে কেউ করেননি। কমিশন এ রকম কোন পরিস্থিতি সম্পর্কে আদৌ অবহিত নয়।

উল্লেখ্য যে, এই বিষয়ে নির্বাচনের দিন উপস্থিত সাংবাদিকদের মানিক বলেছিলেন তিনি ভিতরে ঢুকতে চাইলে সেখানে কর্মরত একজন লোক তাকে বাঁধা দেয় এবং বলে ভেতর থেকে অনুমতি আনতে হবে। ঐ লোক ভিতরে গিয়ে এসে মানিককে জানান ভিতরে ঢুকার অনুমতি দেয়া হয়নি।

Previous articleনির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মানিক!
Next articleমহিলা লীগের খসড়া সূচি প্রেরণ; তবে এখন অংশগ্রহনে আগ্রহী নয় ক্লাবগুলো

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here