নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলো বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। বাছাইপর্বের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে এই সুযোগ অর্জন করে নিয়েছে বাঘিনীরা। প্রতিপক্ষের তুলনায় নামেভারে পিছিয়ে থাকলেও মাঠের খেলায় নিজেদের প্রমাণ করে ২০২৬ সালে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান কাপের মূল আসরে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে পিটার বাটলার শিষ্যরা।

মায়ানমারের ইয়াঙ্গুনে বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনের বিপক্ষে ৭-০ গোলের বড় জয় তুলে নিয়ে শুভসূচনা করে বাংলাদেশ। এরপর আজ গ্রুপের সবচেয়ে শক্ত প্রতিপক্ষ ও স্বাগতিক মায়ানমারকে হারায় ২-১ গোলে। ঋতুপর্ণা চাকমার জোড়া গোলে এশিয়ান কাপ খেলার স্বপ্নের বেশ কাছে চলে যায় লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এবার গ্রুপের বাকি দুই প্রতিপক্ষের ড্রয়ের সুবাদে এক ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত হয়ে গেল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে খেলা।

ইয়াঙ্গুনে বাছাইপর্বের অপর ম্যাচে ২-২ ড্র করেছে বাহরাইন ও তুর্কমেনিস্তান। যার ফলে বাংলাদেশের গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে আর কোন বাঁধা নেই। গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ খেলবে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে; অপরদিকে মায়ানমার খেলবে বাহরাইনের বিপক্ষে। তাই বাংলাদেশ যদিও হারে এবং মায়ানমার জিতে যায় তাহলেও সমান পয়েন্টে হেড টু হেড বিবেচনায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলাদেশ। কারণ মুখোমুখি দেখায় মায়ানমারকে হারিয়েছে আজ। আর শেষ ম্যাচে যদি বাংলাদেশ ড্র বা জয় পায় তাহলে কোন শর্ত ছাড়াই হবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।

তাইতো বাংলাদেশের নারী ফুটবলে আজ এক অনন্য খুশির দিন। কারণ ১৯৮০ সালের পর আরো একবার এশিয়ার সর্বোচ্চ আসরে উড়বে লাল সবুজের পতাকা। এর আগে প্রায় ৪৫ বছর আগে পুরুষ দলের কল্যাণে সে দৃশ্যের সাক্ষী হলেও এবার সেটা করে দেখিয়েছে বাংলার অদম্য বাঘিনীরা। তাইতো এখন পিটার বাটলার শিষ্যরা বলতেই পারে – “হ্যালো অস্ট্রেলিয়া, বাঘের গর্জন দিতে আমরা আসছি!”

Previous articleঋতুপর্ণা ঝলকে এশিয়ান কাপের মূলপর্বের পথে বাংলাদেশ
Next articleবাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়নে রয়্যাল মরোক্কান ফুটবল ফেডারেশনের সহযোগিতার প্রস্তাব

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here