১৫তম রাউন্ড শেষে এএফসি কাপ এবং এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের জন্য ৩৯ দিনের লম্বা বিরতিতে গিয়েছিল ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। দীর্ঘ বিরতি শেষে মঙ্গলবার মাঠে নেমে জয় তুলে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস এবং শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটির বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় বসুন্ধরা কিংসের। অপরদিকে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।

মুন্সীগঞ্জে শুরুর দিকে বেশ উত্তাপ ছড়ায় বসুন্ধরা-রহমতগঞ্জ ম্যাচ। ম্যাচের ৩৪তম মিনিটে গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড নুহা মারংয়ের চিপ ডি বক্সের বাইরে থেকে হাত দিয়ে স্পর্শ করায় সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রহমতগঞ্জের গোলরক্ষক জিয়াউর রহমান। ফলে ম্যাচের বয়স আধ ঘন্টা পেরোনোর পরপরই ১০ জনের দলে পরিণত হয় পুরান ঢাকার জায়ান্টরা। বদলি হিসেবে নামা আরেক গোলরক্ষক রকিবুল হাসান তুষারকে অসাধারণ এক ফ্রি কিকে স্বাগত জানান ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মিগুয়েল দামাসেনা। তার নেওয়া বা পায়ের বুদ্ধিদীপ্ত ফ্রি কিকে এগিয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এর মিনিট দুয়েক পর আবারো এগিয়ে যায় বসুন্ধরা কিংস, এবার গোলদাতা আরেক ব্রাজিলিয়ান রবসন রবিনহো। ডান প্রান্ত থেকে রিমন হোসেনের কাছ থেকে পাওয়া বলে দারুন নিয়ন্ত্রণ করে ডান পায়ের নিখুঁত শটে স্কোরলাইন ২-০ করেন বসুন্ধরা কিংস অধিনায়ক। দুই গোল হজম করে অনেকটাই নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে ১০ জনের রহমতগঞ্জ। অপরদিকে বসুন্ধরা কিংসও পারেনি ব্যাবধান বাড়াতে। ফলে ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

অপরদিকে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বিগ বাজেটের শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কাছে ৩-১ গোলে হেরেছে বর্তমান রানার্স আপ শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ম্যাচের ২৪তম মিনিটে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড ইসমাহিল আখিনাদের কাট ব্যাক থেকে ডান পায়ের শটে গোল করেন হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস। তবে ৪২তম মিনিটে শেখ জামালকে সমতায় ফেরান ওতাবেক। অধিনায়ক সলোমন কিংয়ের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুর্দান্ত এক গোলে ম্যাচের স্কোরলাইন ১-১ করেন এই উজবেক মিডফিল্ডার। তবে নিজেদের ভুলেই বেশিক্ষণ সমতা ধরে রাখতে পারেনি ধানমন্ডির ক্লাবটা। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বাম প্রান্ত থেকে হেমন্ত ভিনসেন্টের বাড়ানো বলে বা পায়ের আলতো টোকা দেন আইভরি কোস্টের মিডফিল্ডার চার্লস দিদিয়ের। কিন্তু বলের লাইনে থেকেও হাত ফসকে শেখ রাসেলকে গোল উপহার দেন শেখ জামাল গোলরক্ষক সামিউল ইসলাম। বিরতির পর ম্যাচের শেষ দিকে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করেন ফরোয়ার্ড মান্নাফ রাব্বি। ডান প্রান্ত থেকে রহমত মিয়ার বাড়ানো লং পাসে দারুন গতিতে এগিয়ে গিয়ে ডি বক্সের সামনে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে বল জালে জড়ান এই ফরোয়ার্ড। ফলে ৩-১ গোলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়ে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।

Previous articleআন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরার অপেক্ষায় বাংলাদেশ নারী দল!
Next articleঢাকা ডার্বির ফিরতি ম্যাচও হয়েছে আবাহনীময়

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here