বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) নারী ফুটবলারদের সঙ্গে নতুন চুক্তি নিয়ে তোড়জোড় শুরু করেছে। তবে, বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলারকে বাইরে রেখেই এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বাফুফের বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গিয়েছে, যারা অনুশীলনে যোগ দেবেন, শুধুমাত্র তারাই বিবেচনায় আসবেন। অন্যথায়, তাদের আর জাতীয় দলে ফেরার সুযোগ থাকছে না।
বিশ্বস্ত সূত্রে আরও জানা গেছে, সিনিয়র জাতীয় দলের ১৩ জনসহ বয়সভিত্তিক দলের কিছু খেলোয়াড়কে নতুন চুক্তির আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাফুফে প্রাথমিকভাবে ৩৫ জন ফুটবলারকে চুক্তির আওতায় আনার জন্য বাছাই করেছে, যার মধ্যে প্রথম ধাপে ১২ জনের সঙ্গে চুক্তি সম্পন্ন করা হবে।
প্রথম ধাপে যেসব ফুটবলারের সঙ্গে চুক্তি করা হচ্ছে, তারা হলেন— আফঈদা খন্দকার, অর্পিতা বিশ্বাস, মুনকি আক্তার, আকলিমা খাতুন, স্বপ্না রানী, সুরভী আক্তার প্রীতি, কোহাতি কিসকু, শাহেদা আক্তার রিপা, ইয়ারজান বেগম, হালিমা আক্তার, আইরিন খাতুন এবং সুরমা জান্নাত।
এদিকে, কোচ পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলন বয়কট করা সাবিনাসহ ১৮ ফুটবলারের ক্যারিয়ার অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। বাফুফের বিশেষ কমিটি সপ্তাহব্যাপী যে তদন্ত করেছে, সেখানে মেয়েদের অভিযোগ সেভাবে গ্রহণযোগ্য হয়নি। ফলে, কোচ পিটার বাটলারকেই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বিশেষ কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল নারী ফুটবলারদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করেন এবং সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দেন। তবে, এরপরও বিদ্রোহী খেলোয়াড়রা অনুশীলনে ফেরেননি। সভাপতি শনিবার পর্যন্ত তাদের সময় দিয়েছিলেন, কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও কেউ ফেরেননি। ফলে, তাদের নিয়ে ভবিষ্যতে আর কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানানো হয়েছে।
ফেডারেশন এখন যারা অনুশীলনে যোগ দিচ্ছেন, তাদের নিয়েই বিকল্প দল গঠনের পরিকল্পনা করছে। নতুন চুক্তির আওতায় থাকা খেলোয়াড়দের দিয়ে জাতীয় দলের পুনর্গঠন শুরু হবে।