এ যেন পেশাদারিত্বের নামে ছেলেখেলা করছে ভারতীয় ফুটবল সংস্থা। মাঠ নিয়ে টালবাহানা, অনুশীলনের সময়ে হঠাৎ অদলবদল করে বাংলাদেশকে মানসিক চাপে রাখছে ভারত। এবারের ভারত মিশনের প্রতিটি বিষয়ই বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে যাচ্ছে। গতকাল প্রথম প্র্যাক্টিস মাঠে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হ্যাভিয়ার ক্যাবরেরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন। মাঠের এবার অনুশীলনের সময় দেখা দিয়েছে গোলমাল। তাই কোচের পাশাপাশি খেলোয়াড়দের মনেও অসন্তোষের চাপা ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে।
ভারতীয় ফুটবল সংস্থার পেশাদারিত্ব নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে বাংলাদেশ দলের সাদউদ্দিনকে; সাদের মতে তাদের এই টালবাহানার জেরে খেলোয়াড়েরা অনুশীলনে টাইম ম্যানেজমেন্টের দিকে ফোকাস করতে সমস্যা হচ্ছে। সাদ বলেন, “এটা আমাদের জন্য অসন্তোষ্টি। আমাদের আজ অনুশীলন করার কথা ছিল সাড়ে ৫টায়, সাড়ে ৪টার দিকে আমাদের মিটিং ছিল, সেটা করে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম, তখন কোচ আমাদের বললেন, অনুশীলন সাড়ে ৭টায়। এতে আমাদের একটু সমস্যা হচ্ছে, কেননা, যে সময় আমাদের অনুশীলনে যাওয়ার কথা, সেটা আমরা যেতে পারছি না। তবে আমরা পেশাদার খেলোয়াড়, আমাদের এটার সাথে মানিয়ে নিতে হবে।”
স্বাগতিক ভারত নিজেদের বিগত সময়ে পারফরম্যান্সহীনতার কারণে আগে থেকেই চাপে আছে, এছাড়া বাংলাদেশ দলের নতুন সংযোজন হামজা চৌধুরীর জন্য সে চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে কয়েকগুণ। তাই তো অবসরে যাওয়া সুনীল ছেত্রীকে ফিরিয়ে এনেছে তাদের ফুটবল সংস্থা। তাও যেনো বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে নিশ্চিত হতে পারছে না ভারতীয়রা। ফলে বাংলাদেশীদের মানসিক চাপ বাড়াতে নিত্যনতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে, যার মধ্যে অনুশীলনের জন্য মাঠ দিতে না চাওয়া এবং অনুশীলনের নির্ধারিত বারবার পেছানো অন্যতম।
জওহরলাল নেহেরু স্টেডিয়ামে মূল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। মাঠটি মূলত প্রাকৃতিক ঘাসের তৈরি। ভারতীয় সে মাঠে অনুশীলনের সুযোগ পেলেও বহু দেনদরবারের পর বাংলাদেশের ভাগ্যে ঘাসের পরিবর্তে জুটেছে টার্ফের মাঠ। এতে মাঠ নিয়ে খুশি নন সাদউদ্দিন। তিনি বলেন, “অবশ্যই এটা আমাদের জন্য ভালো নয়। ঘাসের মাঠে ট্রেনিং করতে পারলে ভালো হতো। আমরা এরকম সমস্যার মুখোমুখি এখানে এসে হব, এমন মানসিকতা নিয়েই আমরা এসেছি, তাই এগুলো আমাদের জন্য সমস্যা না।”
অতীতের কথা স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে সাদ বলেন, “২০১৯ সালে সবশেষ আমরা যখন বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ খেলতে এসেছিলাম, তখন আমরা এরকম সমস্যার মুখোমুখি হইনি। ভালো অনুশীলন করেছি, প্রস্তুতির ফ্যাসিলিটিজ ভালো ছিল। কিন্তু এবার আমরা অনেক বাজে বিষয় ফেইস করছি।”
বাংলাদেশ দল বর্তমানে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে অবস্থান করছে। বাংলাদেশ থেকে তুলনামূলকভাবে শিলংয়ের আবহাওয়া ঠান্ডা। তবে তা নিয়ে মাঠ ঘামাচ্ছেন না সাদ, “প্রস্তুতি আমাদের অনেক ভালো এবং সেটা এখান থেকে না, যখন আমরা সৌদি আরবে অনুশীলন শুরু করেছি, তখন থেকে। গতকাল এখানে আমরা একটু অনুশীলন করেছি। আবহাওয়া একটু ঠাণ্ডা আছে। সৌদিতেও আমরা এই আবহাওয়ার মধ্যেই ছিলাম। আমাদের জন্য এটা সমস্যা হচ্ছে না।”