এএফসি কাপ ২০২১ এর জন্য ক্লাব লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। এবার খুবই পেশাদার পদ্ধতিতে আগানোর চেষ্টা করছে তারা। শুরুতেই সকল ক্লাবকে চিঠি পাঠিয়েছে। আগ্রহী ক্লাবদের চিঠি জমা নিয়ে এরপরই হবে পরবর্তী কার্যক্রম।

ফেডারেশন কাপ জিতে আগামী এএফসি কাপে লাইসেন্সিংয়ের শর্ত পূরণ সাপেক্ষে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করেছে বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু লীগ পরিত্যক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে এএফসি কাপে দ্বিতীয় দল কারা হবে তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ফেডারেশন কাপে রানার্সআপ হওয়ায় অনেকেই পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী দল রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটিকে এশিয়ার মঞ্চে দেখতে চান, আবার অনেকেরই মতামত এএফসি কাপে খেলার অভিজ্ঞত ঢাকা আবাহনীই ঐ শূন্য স্থান পূরণ করুক। তবে বিষয়টি ততটা সহজ নয়। এএফসি কাপে খেলতে তাদের মানদন্ড অনুযায়ী কাগজপত্র জমা দিয়ে লাইসেন্সিং করতে হবে। লাইসেন্সিং সম্পন্ন করা ক্লাবই কেবল বিবেচনায় আসতে পারবে। এই জন্য বাফুফে থেকে পূর্বেই জানানো হয়, যারা ক্লাব লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে এবং দল শক্তিশালী করবে তাদের নামই ঐ স্লটটির জন্য এএফসিতে পাঠাবে ফেডারেশন।

উক্ত বিষয়ে বাফুফে’র কর্মকর্তা জাবের বিন তাহের আনসারি অফসাইডকে জানান, ‘আমরা প্রিমিয়ার লীগের তেরটি ক্লাবকেই চিঠি দিয়েছি। এদের ভেতর যারা যারা এএফসি ক্লাব লাইসেন্স করতে ইচ্ছুক তারা আগামি ১ জুলাইয়ের ভেতর এএফসির ক্লাব লাইসেন্সিং সফটওয়্যার যেটাকে AFC Club Licensing Administration System (AFC CLAS) বলে সেখানে আবেদন আপলোড করবে ও বাফুফেতে একটি হার্ড কপি প্রদান করবে। পরে এএফসি ও বাফুফে এটা যাচাই বাছাই ও সকল ক্রাইটেরিয়া দেখে লাইসেন্স প্রদান করবে।’

এএফসি কাপ ২০২১ এর ক্লাব লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া শুরু প্রসঙ্গে বসুন্ধরা কিংসের মিডিয়া ম্যানেজার আহমেদ শায়েক অফসাইডকে বলেন, ‘এবারের এএফসি কাপ ২০২১ ক্লাব লাইসেন্সিং নিয়ে বাফুফে অনেক প্রফেশনাল। প্রথমেই যারা আগ্রহী তাদের লিখিত চিঠি জমা নিচ্ছে। এরপর ট্রেনিং এবং মিটিং করবে শুধুমাত্র সেইসব ক্লাবের সাথে। এতে অনেক অর্গানাইজডভাবে আগাতে পারবে বাফুফে।’

Previous articleবাফুফের তৃণমূল ফুটবলের শুভেচ্ছাদূত হলেন জামাল ও সাবিনা
Next articleসাফের সিদ্ধান্ত আসতে পারে আজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here