প্রত্যাশিত জয়ে ফেডারেশন কাপের শেষ চারে পৌঁছেছে বিগ বাজেটের সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। কমলাপুরে ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘকে ২-০ গোলে হারায় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। এই জয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত সেমিফাইনালে আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির দল। সাইফের জয়ে জয়সূচক গোল দুটি করেছেন রহিম উদ্দিন ও মারাজ হোসেন। এর আগে স্বাধীনতা কাপের কোয়ার্টার ফাইনালেও স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘকে হারিয়েই সেমিতে খেলেছিল জামাল ভুঁইয়ারা।

কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই স্বাধীনতার উপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে সাইফ। তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি এমফন সানডে, এমেকা উগবুগরা। মিসের শুরুটা হয়েছিল সপ্তম মিনিটে। এমফন সানডে ও আসরোর গফুরোভের চেষ্টা প্রতিহত করেন গোলরক্ষক সারোয়ার জাহান। নিজেদের অর্ধ থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন এমফন সানডে, প্রথম দফায় তার শট রুখে দেন স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের গোলরক্ষক সারোয়ার জাহান। ফিরতি বলে উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার আসরোর গফুরোভ শট নিলে সেটাও ঠেকিয়ে স্বাধীনতাকে রক্ষা করেন এই গোলরক্ষক। ১৬ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে এমেরি বাইসাঙ্গের ডান পায়ের ভলি সাইড বারের লেগে ফিরে আসে। ২০তম মিনিটে মারাজ হোসেনের মারাজের জোরালো শট গোলরক্ষক ফেরান, এরপর এমেকার চিপ শট গোললাইন থেকে ফেরান সেলিম রেজা। ৩৯ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে এমফন সানডের জোরাল শট ফিস্ট করে ফিরিয়ে গোলরক্ষক সারোয়ার জাহান। ৪২ মিনিটে জামাল ভুঁইয়ার নিচু ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন সারোয়ার। কর্নারে কপাল খুলে সাইফ স্পোর্টিংয়ের, এগিয়ে যায় ম্যাচে। জামালের নেওয়া কর্নার গোলরক্ষক সারোয়ার জাহানের গ্লাভসে আটকাতে না পারলে জটলার মধ্যে স্বাধীনতার এক ডিফেন্ডার বল ক্লিয়ার করতে শট নিলে তা রহিম উদ্দিনের গায়ে লেগে জালে জড়ায়। ফলে ১-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় সাইফ।

বিরতি থেকে ফিরেও সমান তালে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের ওপর চাপ অব্যাহত রাখে আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানির শিষ্যরা। তবে সমতায় ফেরার সুযোগ পেয়েছিল স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘও। ৫৬ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে রাসেল আহমেদের শট ক্রসবারের সামান্য উপর দিয়ে বাইরে চলে গেলে সমতায় ফেরা হয়নি স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের। ৭২ মিনিটে স্বাধীনতাকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয় সাইফ। স্বাধীনতার দুই ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে আসরোর গফুরোভের থ্রু বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বা পায়ের প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন তরুণ ফরোয়ার্ড মারাজ হোসেন। পরের মিনিটেই স্বাধীনতার গোল ব্যবধান কমাতে দেননি সাইফের গোলরক্ষক পাপ্পু হোসেন। নদিরবেক মাভলোনোভের ফ্রি-কিক মানব-দেওয়ালে লেগে ফিরে এলে ফিরতি বলে শট নেন নদিরবেক, দূরের পোস্টে ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন পাপ্পু। ফলে আর ব্যাবধান কমানো হয়নি স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের।

এই জয়ে মোহামেডানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ফেডারেশন কাপের সেমি ফাইনালে পৌঁছে গেলো সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। এর আগে প্রথম সেমিফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনীকে ২-১ গোলে হারিয়ে সেমিতে পৌঁছায় সাদা-কালোরা। আগামী ৬ জানুয়ারি ফেডারেশন কাপের প্রথম সেমি ফাইনালে লড়বে মোহামেডান-সাইফ।

Previous articleচট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে সেমিফাইনালে মোহামেডান
Next articleঅতিরিক্ত সময়ের নাটকীয়তায় সেমিফাইনালে রহমতগঞ্জ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here