শেখ রাসেলের মাঠ থেকে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের হারানো শীর্ষ স্থানটি পুনরায় নিজেদের হস্তগত করলো ঢাকা আবাহনী। লীগের চতুর্থ রাউন্ডে শেখ রাসেলের হোম ভেন্যু বসুন্ধরা কিংস এরেনায় আকাশী-নীলরা শীর্ষ স্থান দখলের লড়াইয়ে নামে।

প্রথমার্ধে বেশ কয়েক বার রাসেলের রক্ষণভাগে চড়াও হয়েছিলো আবাহনী। তবে অধরা গোল পাওয়া হয় নি তাদের। প্রথমার্ধে স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তনহীন ম্যাচে দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে পরিবর্তন আসে। দ্বিতীয়ার্ধের একদম শুরুতে আবাহনীর উইঙ্গার জুয়েল রানা হেডে গোল করে তার দলকে লিড পাইয়ে দেন। আবাহনীর কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কলিন্ড্রেসের কর্ণার কিক থেকে প্রথমে হেড করেন ডেরিয়েল্টন পরিবর্তিতে জুয়েল রানা হেড করে বলকে গোলের দিশা দেখান।

ম্যাচে ৬১ মিনিটে আবাহনী ইরানিয়ান সেন্টার ব্যাক মিলাদ শেখ সোলাইমানী ব্যবধান আরেকটু বাড়িয়ে দেন। শেখ রাসেলের ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় এল্টন মাসাদাওর ভুল পাসের কারণে বল পেয়ে যান আবাহনীর সোহেল রানা। সোহেল রানা পাস বাড়ান ডেরিয়েল্টনের কাছে। ডেরিয়েল্টন হালকা টাচ করে বলকে খালি জায়গায় থাকা মিলাদ শেখের কাছে দেন। মিলাদ শেখ বল পাওয়া মাত্রই সামান্যতম দেরী না করে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিয়ে গোল আদায় করে নেন।

মিনিট তিনেক পর এক গোল শোধ দেন শেখ রাসেলের ইসমাইল রুডি। হেমন্ত ভিনসেন্টের পাস থেকে বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো এক শটে গোল করেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। গোলবারে থাকা আবাহনীর গোলরক্ষক শহিদুল আলম সোহেলের কিছু বুঝে উঠার আগেই বল জালে জড়ায়। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে নাওয়াজ জীবনের গোলে ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় আবাহনী। বক্সের বাইরে থেকে আবাহনীর সুশান্ত ত্রিপুরা শটে রাসেলের আয়জার আকমেতোভের গায়ে লেগে বল ফিরে আসলে ফিরতি বলে বলের দখল নেয় সুশান্ত। বল নিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে দুইজনের মাঝখান দিয়ে বল দেন জীবনের কাছে। জীবন প্রতিপক্ষের একজনকে পাশ কাটিয়ে খানিকটা জায়গা নিয়ে অন-টার্গেট শট গোল করেন।

শেষ পর্যন্ত আর কোনো গোল না হলে ৩-১ গোলের জয় পায় আবাহনী। এই জয় দিয়ে ৪ ম্যাচে ৩ জয় ও ১ ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থান আবারো ফিরে পেলো আবাহনী। বিপরীতে ৪ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার সাতে আছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।

দিনের আরেক ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নামে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে সাদা-কালো শিবির। ম্যাচের প্রথম গোলটি আসে প্রথমার্ধের ৩২ মিনিটে। মালিয়ান ফরোয়ার্ড সোলেমান দিয়াবাতে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। ম্যাচের দ্বিতীয় হয় দ্বিতীয়ার্ধে ৪৯ মিনিটের মাথায়। মিডফিল্ডার শাহরিয়ার ইমনের গোল মোহামেডানের লিড দ্বিগুণ হয়।

সাইফের বিপক্ষে জয়ের ফলে ৪ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট পেয়ে তালিকার চারে আছে ঐতিহ্যবাহী এই দল। বিপরীতে টানা দ্বিতীয় হারে মোহামেডানের সমান ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডানের পরপরই অবস্থান করছে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।

Previous articleবসুন্ধরার নতুন দিগন্তের সূচনা
Next articleজয় পেয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী ও উত্তর বারিধারা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here